ভোলার কাঁচা সবজির লাগামহীন মূল্যে বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা

0
137

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।বন্যার প্রভাবে কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্দ্বমূখী ভোলার সবজির বাজার। এছাড়া উপজেলার হাটবাজারগুলোয় কাঁচা তরিতরকারিসহ শাকসবজির লাগামহীন মূল্যে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। বাজার ঘুরে দেখা যায় সপ্তাহ ঘুরতেই বিভিন্ন সবজিভেদে  প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবজির মূল্য। সবচেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে নতুন ধনিয়া পাতা। প্রতি কেজি ধনিয়া পাতা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪শ থেকে ৫শত টাকায়। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। গ্রামের ক্ষেত থেকে নতুন আসা লাল শাক,কলমি শাক,হেলেঞ্চার শাক,মূলাশাকসহ কচু শাকের মুঠি ১০ টাকা হলেও মুঠি প্রতি ৫টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি করতেও দেখা যায় এসব বাজারে। গাজর ৯০,বেগুন ৬৫,পটল ৬০,মূলা ৬০,মিষ্টি কুমড় ৫০,পেঁপে ৫০, করলা ৭০,শসা ৬০,কাঁকরোল ৬০,বেগুন ৬০,কাঁচা কলা ৪টি ৫০,ধুন্দল ৫০,কাঁচা মরিচ ৪শ,ঢেঁড়শ ৬০,কচুর ছরা ৫০ ও বরবটি ৬৫ টাকার কাছাকাছি মূল্যে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। সবজির এমন লাগামহীন মূল্যে আড়ৎদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, উত্তর অঞ্চলে বন্যাসহ সাড়াদেশে অতি বৃষ্টির ফলে সবজির উৎপাদন কম ও পর্যাপ্ত পরিমানে পণ্য সরবাহ এবং আমদানি  কমে গেছে। যার প্রভাবে বাজারে চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি।

---

শশিভূষণ কাঁচা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শফিউল্লাহসহ একাধিক ব্যবসায়ী ভোলা নিউজ২৪ডটকম জানান, চরফ্যাশন সদরের পাইকারী বাজার থেকে বেশি মূল্যে সবজি কেনায় তা আবার প্রতি কেজিতে বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। পৌর কাঁচা বাজার,শশিভূষণ,দক্ষিণ আইচা,দুলারহাট ও কেরামতগঞ্জসহ  বিভিন্ন চরাঞ্চলে বাজার ও মান ভেদে  সবজির মূল্য বেড়েছে প্রচুর। যা ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাইরে বলে জানান অনেকেই। পৌরসভার বাসিন্দা রিশাদ রহমান বলেন, বাজারে মাছ মাংশ সহ শাকসবজির মূল্য বেশি হওয়ায় বাজার একরকম ফাকা হয়ে গেছে। অনেক সাধারণ ক্রেতা বাজারে আসছেনা এবং অনেকে আসলেও সাধ্যমতো সদাইপাতি করছেন।
কাঁচা বাজারের পাইকারি আড়ৎদার মো.ইমরান হোসেন বলেন, উত্তরাঞ্চলসহ সাদেশে ভাড়ি বর্ষণের ফলে মানুষের ক্ষেতখামার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দেশের অভ্যন্তরিন আমাদানি রপ্তানি কম। যার ফলে সরবরাহ কম থাকায় যা আসছে তাই বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে। এদিকে করোনাকালীন থেকে শুরু করে চরফ্যাশনের অভ্যন্তরিণ বাজারসহ খুচরা বাজারগুলো মন্দা যাচ্ছে। ঘূর্নিঝর ফনি,আমফানসহ বন্যা টর্নেডোর প্রভাব পড়েছে বাজারগুলোয়। যার জন্য  অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়েছে সাধারণ ব্যবসায়ীরাসহ মধ্যবিত্ত অনেক পরিবার। এবং বন্যা ও অতিবৃষ্টি আঘাত করেছে মধ্যসত্ত্বভোগী পরিবার ও সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায়। এমনটাই মনে করছেন বাজার বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ী নেতারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসনাইন জানান, আসছে শিত মৌসুমে শস্য উৎপাদন হলেই সবজি বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে মনে করি। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম  ভোলা নিউজ ২৪ডটকম  কে বলেন, সবজি মৌসুম না থাকায় এবং দেশে বন্যা ও প্রচুর পরিমানের বৃষ্টি হওয়ায় চাষিদের শাক সবজি নষ্ট হয়েছে। ফলে বাজার মন্দা থাকলেও আশাকরি মৌসুমী সবজি বাজারে দ্রুতই চলে আসবে।

LEAVE A REPLY