ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার দুপুর দুইটার দিকে শহরের গোরস্থান মসজিদ প্রাঙ্গণে এই জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে অংশগ্রহণ করেন, ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর, সিনিয়র সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ ট্রুম্যান, সহ-সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, জেলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের সেলিম, বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম কায়েদ, থানা বিএনপি’র সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন, সহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। জানাজা নামাজের শেষে নিহত আব্দুর রহিমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিএনপি নেতারা বলেন, ভোলায় দীর্ঘদিন যাবত বিএনপি ও আওয়ামীলীগ সহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরাও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও সহাবস্থানে থেকেই রাজনীতি করে আসছেন। এমন কোন পরিস্থিতি ঘটেনি যেখানে পুলিশ বিএনপির কর্মীদের উপর এরকম ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালাতে হবে। এমন কি পরিস্থিতি ঘটেছে সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে প্রতিহত করতে পুলিশ ১৬৫ রাউন্ড গুলি ও ৩০ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করতে হবে। আজকে পুলিশের গুলিতে আব্দুর রহিম নিহত হয়েছে, কিভাবে চলবে তার পরিবার, কি ভাবে চলবে তার তিন ছেলে সন্তানের ভরণপোষণ। এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর। তিনিই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এর সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে ভোলা সদর হাসপাতালে নিহত আব্দুর রহিমের মরদেহ পড়ে থাকলেও গ্রেফতারের ভয়ে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে কেউই সাহস করিনি। সকাল থেকে মরদেহ হসপিটালে পড়ে থাকার খবর পেয়ে বরিশাল থেকে ছুটে আসেন বরিশাল বিভাগের বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন। তিনি হাসপাতাল থেকে রহিমের মরদেহ নিজের দায়িত্বে নিয়ে জানাযা নামাযের জন্য গোরস্থান মসজিদের সামনে দিয়ে বরিশাল চলে যান। সেখানে জানাযা নামাজ শেষে নিহত আব্দুর রহিমের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে তাঁর নিজ বাড়ি দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে পৌঁছে দেয়া হয়।