আমার আরেকটি স্বপ্ন, ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মানে নৌকায় ভোট দিন-তোফায়েল আহমেদ

0
410

 রাকিব উদ্দিন অমি:ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট।। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিনে ভোলা-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এর নির্বাচনী সর্বশেষ পথ সভায় হাজার হাজার নারী-পুরুষের ঢল নেমেছে। বৃহষ্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ভোলা পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহরের বাংলা স্কুল মাঠে তার সর্বশেষ পথ সভার আয়োজন করা হয়।
বিকেল ৩টার আগেই মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মাঠটিতে নারী-পুরুষ ব্যাপক সমাগম ঘটে। তিল ধরার ঠাই ছিল না মাঠে। এক পর্যায়ে পথসভা জনসমুদ্রে রূপান্তিত হয়।
পথ সভায় ভোলা পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভোলা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী নেওয়াজ পলাশের স ালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক জ্বালানী সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, সত্তরের নির্বচানে আপনারা আমাকে ২৬ বছর বয়সে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন। আমি আপনাদের ভোটে নির্বাচনে জয় লাভ করে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আপনাদের সেবা করে গেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আজও আমি আপনাদের সেবা করে যাচ্ছি। সত্তরের নির্বাচনে আপনারা নৌকা মর্কায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে পেরেছেন। ওই ভোটের কারনেই আজ আমরা স্বাধীন। আজ আবার সেই সত্তরের নির্বাচনের মত নৌকার জোয়ার উঠেছে। আগামী ৩০ তারিখ আবার বাংলাদেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে প্রধান মন্ত্রী করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে আরও বলেন, আজ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। গ্রামগ্রলো শহরে পরিনত হয়েছে। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসেন তখন মানুষের উন্নয় হয়। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দরিদ্রের হার ছিল ৪৬ শতাংশ। আজ আমরা তা ২১ শতাংশে কমিয়ে এনেছি। হতদরিদ্রের সংখ্যা আজ শতকরা ১১জন।
তিনি আরও বলেন, আমি বিগত ১০ বছরে ৩হাজার ২শত কোটি টাকা ব্যায়ে ভোলার নদী ভাঙন রোধ করেছি। ভোলার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুতে আলো পৌছে দিয়েছি। প্রতিটি রাস্তা পাকা করেছি। এখন আমি ভোলাকে বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ জেলায় রূপান্তর করতে চাই।

ভোলাকে নিয়ে আমার আরেকটি স্বপ্ন বাকি আছে, সেটা হলো ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মান। ইতোমধ্যে সেটিরও কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। আগামীতে ক্ষমতায় যেতে পারলে ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মান করে ভোলাকে মূল ভূখন্ডের সাথে যুক্ত করা হবে। এছাড়াও ভোলায় প্রচুর গ্যাস রয়েছে। সেটি দিয়ে ভোলায় শিল্প-কারখানা নির্মান করা হবে। ভোলা হবে শিল্প নগরী।
বিএনপির প্রচারণা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশে কোনো উন্নয় করেনি। তাই তারা মানুষের কাছে ভোট চাইতে জান না। তারা তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে গেছেন। বিএনপির ধানের শীষ প্রতিক হচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিক। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা মাকে ছেলে হারা, বাপকে পুত্র হারা ও বোনকে স্বামী হারা করছে তাদের ধানের শীষ প্রতিক দিয়েছে। যারা ২১শে আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেনেড মেরে হত্যা করতে চেয়েছিলো তাদেরকে ধানের শীষ প্রতিক দিয়েছে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর আপনারা স্বাধীনতার প্রতিক, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিক নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। আমি যদি আপনাদের ভোটে আগামীকে জয় লাভ করবে পারি তাহেল প্রতিটি ঘরে ঘরে গ্যাস পৌছে দিবে এবং ভোলাকে মনের মত করে সাজাবো।

 

LEAVE A REPLY