মো: আফজাল হোসেন :: ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঢল ভোলার লঞ্চঘাট গুলোতে। লোকাল বাসের মত দাড়িয়ে গাধাঁ-দাধি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই জীবনের ঝুকি নিয়ে আসছে যাত্রীরা। যা স্বিকার করেও নিলেন লঞ্চ কর্তপক্ষ আর বিআইডব্লিউটিআই কর্তপক্ষ।
ঈদের আর মাত্র একদিন বাকী। শেষ মুহুর্তে মানুষের ঢল শুরু হয়েছে দ্বীপ জেলা ভোলার লঞ্চ ও ফেরিঘাটে। ঢাকা ও চট্রগ্রাম এর হাজারো মানুষ আসছে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট হয়ে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ হচ্ছে লঞ্চ কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে লোকাল বাসের মতই দাড়িয়ে আসতে হচ্ছে। আবার কারো মতে পরিস্থিতি এমন যে করোনা এখন ছুটিতে গেছে বলেও মন্তব্য করেন অনেক যাত্রী। এদের মধ্যে মো: জুম্মান বলেন,আসতে হবে বলেই এসেছি,না হলে এত ঝুকি নিয়ে আসতাম না। স্বাস্থ্যবিধি বলতে কিছুই মানা হচ্ছে না। শুধু মুখেই এসব বলা হচ্ছে বাস্তবে নেই কিছু। চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেন,ঢাকা থেকে আসা লালমোহনের বাসিন্দা মো: ফখরুল ইসলাম। পরিবার নিয়ে আসার জন্য লঞ্চের যাত্রী হয়েছেন। ভাড়া নিয়েছেন প্রায় ডাবল। তবে স্বাস্থ্যবিধির কিছু মানা হচ্ছে না। কর্ণফুলী লঞ্চ নয় যেন মরন ফাঁদ। একই ক্ষোভ ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দোয়েল পাখি লঞ্চের যাত্রীদের। তবে দোয়েল পাখির ম্যানেজার মো: মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, ঈদ বলেই সমস্যা হচ্ছে। তার পরেও স্বাস্থ্যবিধি মানার চেস্টা করছি। আর ঢাকা সদরঘাটে প্রশাসন থাকে,তা হলে আমাদের দোষটা কোথায়। সত্যতা স্বিকার করেন গ্রীন লাইন এর ম্যানেজার লক্ষন চন্দ্র। তিনি বলেন,বাসের মত লোকজন আসে দাড়িয় বিষয়টি এমন নয়,হয়তো অনেকেই হাটাহাটি করে,তাই এমনটা মনে হচ্ছে।
এদিকে চট্রগ্রামের হাজার হাজার যাত্রী লক্ষিপুর হয়ে মজুচৌধুরী ঘাট হয়ে লঞ্চ,সী-ট্রাক,ফেরি করে আসে। এসব আসা-যাওয়ার পথে কোন স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। জীবনের ঝুকি নিয়ে পার হচ্ছে ডেঞ্জার জোন উত্তাল মেঘনায় ট্রলারে করে যাত্রী। এসব বিষয় দেখভাল করার দ্বায়িত্বে থাকে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশকে জানালেও কোন লাভ হচ্ছে না। অভিযোগ আছে এদের ম্যানেজ করেই ডেঞ্জারজোন উত্তাল মেঘনায় নিষিদ্ধর পরেও যাত্রী পারপার করছে ট্রলারে। যদি এসব লঞ্চ এবং ফেরিঘাটে আইনশৃংখলা বাহিনীর ততপরতা দেখা যায়নি। যদিও কোস্টগার্ডকে লঞ্চঘাটে দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত তারা রুমে ঢুকে বসে থাকে। এসময় দেখা যায় ঘাটের লেবার সহ ঘাটে জড়িতরা অসহায় এসব মানুষদের সাথে চরম খারাপ আচরন করতে। এসব বিষয় নানা অভিযোগ তুলে ধরেন যাত্রীরা।
এদিকে যাত্রীদের এসব অভিযোগ স্বিকারই করে নিলেন লঞ্চ ও বিআইডব্লিউটিআই কর্তপক্ষ। তাদের মতে ঈদ তাই এখন যাত্রী বেশি। তবে ঢাকার সদরঘাট প্রশাসন তাদের তদারকি করছেন বলে জানালেন,বিআইডব্লিউটিআই এর ভোলার ইলিশা ট্রাফিক সুপার ভাইজার মো: রকিবুল ইসলাম। তিনি আরো বল্লেন,ঈদে ঘরমুখী মানুষের ঢল। তাদের কিছু করার নেই।