ভালো নেই ভোলার কামাররা

0
25

মো: আফজাল হোসেন।। কোরবানীতে যেখানে দম ফেলার সুযোগ থাকে না, সেখানে একরকম অলস সময় কাটাচ্ছে ভোলার কামালীরা। কাজ না থাকায় খেয়ে না খেয়ে কোন রকম জীবন কাটছে এই শিল্পর সাথে জড়িতরা। কোরবানীর সময় বেশি না থাকলেও মানুষের এবছর পশু জবাই,মাংস বানাতে চাপাডি,চাকু,দাসহ কোন কিছুরই প্রতি যেন আগ্রহ নেই এবছর। তাই ভালো নেই এই শিল্পের সাথে জড়িতরা।

সারাদেশে লকডাউন চলছে। তা থেকে বাদ নেই দ্বীপ জেলা ভোলা।তার পরেও শহরের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও কোন রকম খুলেছে সদর উজেলার ইলিশা হাটের কয়েকটি দোকান। এখানে প্রতি বছর পশুরহাট বসে। এবছর একবার বসলেও পরে প্রশাসনের নির্দেশে পরবর্তিতে আর বসেনি। তবে কাঁচাবাজার এর সাথে ২/৪টি কামারের দোকান খুলেছে। দা,বটি,ছুড়ি বানিয়ে বসলেও কোন ক্রেতা নেই।

২/১ জন আসেন পুরনো কাচিঁতে একটু ধার দেয়াতে। সারাদিন কিছুই বিক্রি করতে পারেনি কামাল শিল্পের পুরনো কারিগড় তপন কর্মকার। ইলিশাতে বাড়ি তার। পূর্ব পুরুষরা সকলেই এই শিল্পের সাথে জড়িত বলে সেও কাজ করছে। কোরবানী চলে এসেছে কোন ক্রেতা নেই। সারাদেশের লকডাউন চলে তাই দুর থেকেও লোকজন আসছে না। খেয়ে না খেয়ে কাটছে এদের জীবন,এভাবেই বলছিলেন তিনি। শুধু তপন কর্মকার নয় রিপন ভক্ত ও মোঃ খলিল মিয়ার একই অবস্থা। সবকিছু সাজিয়ে বসলেও ক্রেতা না থাকায় হতাশ তারা। এভাবে চললে না খেয়ে মরতে হবে এমনটাই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তারা।

 

এদিকে ভোলা শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকা ঐতিজ্যবাহি কামাল শিল্পের জন্য পরিচিত এক স্থান। লকডাউন থাকায় সেখানেও রয়েছে সব বন্ধ। ১৫/১৬টি দোকান থাকলেও দীর্য দিন ধরে বন্ধ থাকায় বিপাকে পরেছে সাধারন মানুষ। পশু জবাই করার জন্য দা,বটি,চাকু ও চাপাডি ক্রয় করতে পারছে না। মোঃ সোলায়মান বল্লেন,আমরা কোরবানী দিব। গত বছর চাপাডি,চাকু ক্রয় করে রেখেিেছ। এবছর একটু ধার দিব তা পারছি না। এভাবে চল্লে কোরবানী দেয়া কস্ট হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন এই লোক। তাই কোরবানীর সাথে জড়িত কিছু প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

LEAVE A REPLY