ভাঙা কাচের ফাঁক দিয়ে হাত বাড়িয়ে সাহায্যের আকুতি

0
280

ভোলা নিউজ২৪ডটনেট ।। রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের এফ আর টাওয়ারে যে তলায় আগুন লেগেছে তার ওপরের তলাগুলোয় অনেকেই আটকা পড়েছেন। নবম তলায় আগুন শুরু হওয়ার পর অনেকে আতঙ্কে ওপরের তলাগুলোয় আশ্রয় নেন। কেউ কেউ ছাদে উঠে পাশের ভবনে গিয়ে নামার চেষ্টা করেছেন। কয়েকজন বিভিন্ন ধরনের তার ধরে নামার চেষ্টা করছেন। আর যারা ভবনটিরে ভেতর আটকা পড়েছেন তারা ভাঙা কাচের ভেতর দিয়ে হাত বের করে সাহায্য চাচ্ছেন।

সেজুতি স্বর্ণা নামের একটি ফেসবুক ওয়াল থেকে  পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা একজন বলছেন, ‘আমাদের জন্য সিঁড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তা না হলে ধোঁয়ায় আমরা মারা যাবো।’ আরেকটি ভিডিওতে তিনি জানালা দিয়ে নিচের রাস্তা দেখিয়ে বলছেন, ‘আমরা ভেতরে আটকা।’

উদ্ধারকর্মী আকরাম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘ভবনের আট তলা থেকে একটি মেয়ে তার ধরে ধরে নামার চেষ্টা করছিল। তখন হাত ফসকে মাটিতে পড়ে যায়। এর পর পর আরও দুইজন পুরুষ পড়ে যায়। আমি নিজে এই তিনজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছি। মেয়েটার পুরো শরীরে কাচ লেগে ছিল।’

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এনায়েতউল্লাহ জানান, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ২১ তলা ভবনটির ৯ তলায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। সেখানে আটকা পড়া অনেকেই ভবনের ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। ক্রেন লেডারের (যন্ত্রচালিত মই) সাহায্যে তাদের সেখান থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করার চেষ্টা হচ্ছে। আগুন নেভানোর সুবিধার জন্য আশেপাশের রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগুন নেভাতে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার কাজ করছে। পাশাপাশি সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে।

এফ আর টাওয়ারের ১৪ তলার একটি প্রপার্টিজ অফিসের কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন টেলিভিশনে দেওয়া  সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার চেষ্টা করি। কিন্তু ততক্ষণে সিঁড়িতেও দেখি ধোঁয়া। পরে ১৪ তলা থেকে ছাদে গিয়ে পাশের আওয়াল সেন্টারে চলে যাই। সেখান থেকে নেমে আসি। আমি এয়ার ফোর্সের কমিশন্ড অফিসার বলে আমার পক্ষে এটা সম্ভব হয়েছে। তবে আমার সঙ্গে ছাদে থাকা আরও তিনজনকে দেখেছি, তারা পাশের ভবন পার হতে পারেননি।’

LEAVE A REPLY