মো: আফজাল হোসেন :: আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি দখলে নিয়ে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে গভীর রাতে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অভিযুক্ত বলেছেন, জমি ভাগবাটোয়ারা হয়নি এখন পর্যন্ত। আদালতের বাহিরে চুল পরিমান ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারী ওসির।
দীর্যদিন ধরেই ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচরা ইউনিয়নের দরুন বাজার সংলগ্ন ১১ শতাংশ জমি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো: বদরুজ্জামান চৌধুরীর সাথে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুব আলম চৌধুরীদের সাথে দন্দ লেগে আছে।এসব দন্দের ফলে আদালতে উভয় পক্ষের মামলা চরমান রয়েছে।যার নাম্বার ২১৫/২০২২ইং।
যে কোন ধরনের বিশৃংখলা এরাতে বিরোধীয় ঐ জমিতে আদালত ১৪৪/১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। বিরোধীয় জমি খালী থাকায় ঐ জমিতে গতকাল গভীর রাতে উপজেলার সাচরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুব আলম চৌধুরী গংরা মো: বদরুজ্জামান চৌধুরীর রেকর্ডিয় জমিতে একটি টিন সেট ঘর উত্তোলন করে। এবং তার চার পাশে দখলে নেয়ার জন্য ইট দিয়ে পাকা ওয়াল নির্মান করার কথা বলা হলেও সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,সেটা একরাতে নয়,বেশ কয়েকদিন ধরেই এটা নিয়মিত করছে বলে স্থাণীয়রা জানান।
সকালে এঘটনা দেখে মো: বদরুজ্জামান চৌধুরী বোরহানউদ্দিন থানায় জানালে থানা থেকে উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মো: মাহফুজ ঘটনাস্থলে গিয়ে সতত্য পেয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন।একই সাথে ঘটনাস্থলে থাকা মো: বদরুজ্জামান চৌধুরীর অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেন। অপরদিকে অভিযুক্ত মো: মাহাবুব আলম চৌধুরী গংদের সাথে তার নিজ বাড়ির সামনে কথা বলতে গেলে তার ছেলে শিথিল চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন ঐ পুলিশ অফিসার এর সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এসময় সাংবাদিকরা মাহাবুব আলম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাদের জমি এখনো বুঝিয়ে দেয়নি।তা নিয়ে দন্দ আছে। আদালতের নিষধাজ্ঞা অমান্য করে পাকা ওয়াল নির্মানের কথা স্বিকার করেন।
এদিকে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো: শাহীন ফকির বলেন,সকালেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তবে যে কেউ হোক আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীকে চুল পরিমান ছাড় দেয়া হবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।