মো: আফজাল হোসেন,বোরহানউদ্দিন থেকে ফিরে ।। ভোলার বোরহানউদ্দিনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। অন্তত ২ঘন্টা ব্যাপি চলা সংঘর্ষে ২০থেকে ২৫টি মটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং ১৫টি মটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সাংবাদিক,ইউপি চেয়ারম্যানসহ উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে। আহতদের বোরহানউদ্দিন,ভোলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে ভর্তি করা হয়েছে।
থানা পুলিশ ও আহতরা জানান,আজ ভোলা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহীম এর নির্বাচনী এলাকায় আশার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্য বোরহানউদ্দিনের টবগীর উদয়পুর রাস্তার মাথা,হাকিম উদ্দিন,দৌলতখান রাস্তার মাথায় পৃথক পৃথক সকাল সাড়ে ৬টায় সংঘর্ষর ঘটনা ঘটে।
সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক ও টবগী ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান কামরুল আহসান চৌধুরী বেশ কয়েকটি মটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন দিতে দৌলতখান রাস্তার মাথা নামক স্থানে আসলে আগ থেকে অবস্থান নেয়া বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃস্টি হয়।
এক পর্যায় সংঘর্ষ বেঁধে যায় যা পরবর্তিতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। একে অপরের উপর লাঠিসোটা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এর থেকে রেহাই পায়নি সাংবাদিকরা পর্যন্ত। তাদের ক্যামেরা,ল্যাবটপ ভাংচুর করে। বেধরোক মারধোর করে কয়েকজন সাংবাদিককে। শুধু তাই নয় সংঘর্ষর সময় টবগী উদয়পুর রাস্তার মাথায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় অফিসসহ বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর করে। এছাড়া হাকিম উদ্দিনে বিএনপি সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং কুপিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে নারীসহ বেশ কয়েকজনকে।
এছাড়া দৌলতখানে পশু হাসপাতাল রোডের চৌকিদার বাড়িতে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ৩টি দোকানপাট ও ৫টি ঘর-বাড়ি কুপিয়ে পিটিয়ে ভাংচুর করেছে। এসময় ৫মহিলাসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনকে আশংবাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। শেষ খবর বিকাল পৌনে ৪টা পর্যন্ত বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান থমথম অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আজম মুকুল হামলার জন্য বিএনপির সমর্থকদের দায়ী করে বলেন,বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনী প্রচারনা চালানোর সময় তার কর্মীদের উপর বিএনপি হামলা করে ২০টি মটরসাইকেল ভাংচুর করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়।
অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহীম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন,প্রশাসন সরকার দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছে। পুলিশের সামনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয় ঘুরলেও না দেখার ভান করছে। আমি কার্যত অবরুদ্ধ অবরুদ্ধ।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি অসিম কুমার সিকদার বলেন,শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। এখন আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। বহু গাড়িতে ভাংচুর করে আগুন দেয়া হয়েছে। যে কোন ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য আমরা প্রস্তত রয়েছি।