ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে মনে হয়, দেশটা তারা স্বাধীন করেছে আর আওয়ামী লীগ সাইডলাইনে বসে বসে দেখেছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই এসেছে এদেশের স্বাধীনতা।
দেশের স্বাধীনতার সুরক্ষা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিদেশিদের কাছে নয়, যদি নালিশ করতেই হয় তাহলে দেশের জনগণের কাছে নালিশ করতে হবে। বিএনপি কথায় কথায় বিভিন্ন দূতাবাসে নালিশ করে আর রাতের আঁধারে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
তাদের মুখে দেশের সার্বভৌমত্বের কথা মানায় না। এই বিএনপি কীভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করবে।
আওয়ামী লীগে গণতন্ত্রের চর্চা নেই, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রহীনতা ও অগণতান্ত্রিক চর্চা যাদের দলগত বৈশিষ্ট্য, তাদের মুখে একথা ভুতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দলে ও সরকারে তথাকথিত বিএনপি মার্কা গণতন্ত্র চর্চাতো জাতি দেখেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে রাতের বেলায় কারফিউ, আর নিজ দলে বছরের পর বছর কমিটি গঠনে ব্যর্থ হওয়া, আবার কমিটি গঠন হলেও তা নিয়ে নিজ দলের অফিসে নিজেরা আগুন দেওয়া।
জন্মলগ্ন থেকে বিএনপি গণতন্ত্রের মুখোশ পরে চললেও তাদের নেতাদের মুখচ্ছবিতে জুলুমতন্ত্র আর সুবিধাবাদের প্রতিচ্ছবি বারবার ফুটে ওঠে বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের, বিএনপির গণতন্ত্র চর্চার সাফল্য বলতে হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করে দুর্নীতির লালন-পালন ও বিকাশ।
‘বিএনপি এখন তাকিয়ে থাকে টেমস নদীর তীরের দিকে। বিএনপির নেতৃত্বের কোনো সক্ষমতা নেই, যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে তারা নির্দেশ পালনকারী মাত্র। তাই জনগণ এখন বুঝতে পারছে পুতুল কোথা থেকে নাচানো হয় আর সুতার টান কোথায়। ’
এদেশের রাজনীতিতে সততা আর ত্যাগের প্রতীক বঙ্গবন্ধু পরিবার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের হাতে কোনো ভাঙ্গা স্যুটকেস ছিল না, যা থেকে বড় বড় জাহাজ বেরিয়ে আসবে, ছিল শুধু জনগণের ভালোবাসা। এদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিবার ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল। ক্ষমতা ভাগাভাগি আর উচ্ছৃষ্ট ভোগ করা বিএনপির ঐতিহ্য। আর ভোগ-বিলাস দুর্নীতি, ষড়যন্ত্র বিএনপির মজ্জাগত।
আগামী দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাব্লিউএইচও, এফএড এবং ওআইই’র ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিসট্যান্সের কো-চেয়ারম্যান মনোনীত হওয়ায় দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের।