ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট।।
ভোলার চরফ্যাশনে জমি জমা বিরোধের জেরধরে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত মোঃ মাকসুদুর রহমান রুবেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বর্তমানে রুবেল বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। হামলার ঘটনায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ। তবে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে দুলালহাট থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারী) চরফ্যাশন উপজেলার আহমদপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে জমি জমাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সন্ত্রাসী ইদ্রিসের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মাকসুদকে এলোপাথারি কুপিয়ে যখম করে।
সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারী) চরফ্যাসন উপজেলার আহমদপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের তোফাজ্জেল হোসেন মাঝি বাড়ি এলাকায় জমিজমা বিরোধের জেরধরে স্থানীয় তোফাজ্জেল মাঝির ছেলে ইদ্রিস, হাদিস ও লিখনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মাকসুদুর রহমান রুবেল (৩৫) এর উপর এলোপাথারী হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাকসুদুর রহমানকে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করে ও হাতের রক কেটে দেয়। তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাকসুদুর রহমান বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে মাকসুদুর রহমানের ভগ্নিপতি শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে দুলারহাট থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা দায়েরের ৪দিন পেরিয়ে গেলেও দুলারহাট থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি। মামলার পর থেকে আসামী ইদ্রিস, হাদিস ও লিখন গংরা মাকসুদুর রহমানের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে দেখি দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছে ইদ্রিস বাহিনী। বতর্মানে মাকসুদুর রহমানের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে দুলারহাট থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান জানান, মামলাটি তদন্তাধিন অবস্থায় আছে। আমরা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন যায়গায় অভিযান চালিয়েছি। আসামীদের ধরার জন্য আমাদের সোর্স কাজ করে যাচ্ছে। অতিদ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।