ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারি দলের পক্ষে ভূমিকা রাখার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের জরুরি ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ডেকে নিয়ে ব্রিফ করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ করেছে বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে জমা দেন।
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন গত ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে এবং ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদান করে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ব্রিফিংয়ের জন্য ১৩ নভেম্বর ঢাকায় ডেকে পাঠায় (পরিশিষ্ট-১)। ব্রিফিং শেষে যখন রিটার্নিং কর্মকর্তারা নিজ নিজ কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন ঠিক তখনই জরুরি ভিত্তিতে তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তলব করা হয়। এই নির্দেশ পেয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গমন করেন। নির্বাচনে সরকারি দলের পক্ষে ভূমিকা রাখার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিং করা হয়।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, আমাদের প্রশ্ন হলো, তফসিল ঘোষণার পর এ সব রিটার্নিং কর্মকর্তা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদেরকে ডেকে পাঠানো হয়? এ ধরনের আচরণ একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিরাট অন্তরায়। সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিরুদ্ধে অশনি সংকেত।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতীত টেলিফোনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে সভা করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমতাবস্থায় বিষয়টি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
চিঠি দিয়ে বের হয়ে এসে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে এখন আর সমতল পরিস্থিতি বলে কিছু নেই। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ডেকে নিয়ে সভা করা হয়েছে। এই অবস্থা চললে আমরা থাকব গিরিখাতে, আর ওনারা থাকবেন পর্বতশৃঙ্গে।
বিএনপির এই চিঠির ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের অধীন হওয়ায় তাদের যাতে অন্য কোনোভাবে কেউ ডেকে সভা না করা হয়, এগুলো ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেব।
ইসি সচিব বলেন, আজকে মাননীয় কমিশন একটি নির্দেশনা দিয়েছে, সবগুলো বিষয় মিলিয়ে সরকারকে আমরা একটা পত্র দেব। সিদ্ধান্ত হয়েছে এ রকম যে অভিযোগগুলো পত্রপত্রিকায় আসছে সেগুলো যাতে ভবিষ্যতে আর না করা হয়।
