ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট : রাজধানীর মিরপুরের ইলিয়াস আলী মোল্লা বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে কয়েক হাজার ঘর। জীবন নিয়ে ঘর থেকে বের হলেও প্রয়োজনীয় সব হারিয়ে দিশেহারা এখন এ বস্তির মানুষেরা। সোমবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ২৩টি ইউনিট সকাল ৭টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী মোল্লার নামে নামকরণকৃত এ বস্তিটিতে সাত থেকে আট হাজার টিন ও কাঠের ঘর ছিল।বস্তির এক বাসিন্দা জানায়, রোববার দিবাগত রাত ৩টার কিছু আগে তারা আগুন দেখতে পান। সেসময় ঘর থেকে দ্রুত বেরিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে পারলেও ঘরের মালামাল উদ্ধার করতে পারেননি। বেশির ভাগ বস্তিবাসীর দশাই তার মতো বলেই তিনি জানান।সকালে দেখা যায়, মিরপুর-১২ নম্বর এ বস্তিতে আগুন লাগার পর চারদিকে মানুষ ছুটাছুটি করতে থাকে। চোখের সামনে সব হারাতে দেখে তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ। বস্তিবাসীরা বলেন, প্রথমে শুধু ধোয়া দেখেছি। এরপর কোনো রকমে প্রাণটা হাতে নিয়ে ঘর ছেড়ে বাইরে বেড় হয়ে এসেছি। আমাদের সব শেষ।রোববার রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর তা খুব দ্রুত পুরো বস্তি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। এর পরপরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রথমে ১৪টি ইউনিট কাজ করলেও পরে আরও ৯টি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ২৩টি ইউনিট কাজ করে। ঘটনাস্থলে আসার রাস্তাগুলো সরু থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়। এতে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
আগুনের সূত্রপাত এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বস্তির বাসিন্দারা বেশির ভাগই পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সবার ঘরেই পোশাকের ঝুট এবং প্রচুর পরিমাণে দাহ্যবস্তু ছিল। যার ফলে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে স্থানীয় সাংসদ ইলিয়াছ আলী মোল্লা জানান, বস্তিতে থাকা প্রায় সব ঘরই আগুনে পুড়ে গেছে। এসব ঘরে প্রায় ২৫ হাজারের মতো মানুষ বসবাস করত। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সব রকমের সাহায্য করা হবে।
আগুনের সূত্রপাত এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বস্তির বাসিন্দারা বেশির ভাগই পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সবার ঘরেই পোশাকের ঝুট এবং প্রচুর পরিমাণে দাহ্যবস্তু ছিল। যার ফলে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে স্থানীয় সাংসদ ইলিয়াছ আলী মোল্লা জানান, বস্তিতে থাকা প্রায় সব ঘরই আগুনে পুড়ে গেছে। এসব ঘরে প্রায় ২৫ হাজারের মতো মানুষ বসবাস করত। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সব রকমের সাহায্য করা হবে।