ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়নও পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক মিশন না পাঠালেও বাংলাদেশে আসা দুই পর্যবেক্ষক সার্বিক পরিস্থিতিতে নজর রেখে প্রতিবেদন দেবেন বলে জানিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনজি টিরিংক।
তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের সাফল্য কামনা করেছি। ১০ কোটি ৪০ লাখ ভোটারের জন্য ৪০ হাজার কেন্দ্রে একযোগে ভোট করা একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। ইসির সামনে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। আশা করি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হবে।”
ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগেই জানিয়েছিল, আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে তারা পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাতে পারছে না। তার বদলে ইইউর নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড ও ইরিনি মারিয়া গোনারি মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছান।
দুই বিশেষজ্ঞ ভোটের আগে-পরে ৪০ দিন বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। তারা নির্বাচন ও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিবেদন দেবেন।
ইসির সঙ্গে তাদের বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত রেনজি টিরিংক সাংবাদিকদের বলেন, “তাদের সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে ইইউর আগ্রহ রয়েছে তা প্রকাশ করা। ইইউ বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের দিকে নজর রাখছে।”
এবার পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক মিশন না পাঠানোর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে হলে কমপক্ষে ছয় মাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করতে হয়। তাছাড়া ইইউর অন্য অংশীদার দেশগুলোতেও নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর চাপ রয়েছে।
“ইইউ সদরদপ্তর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। ফলে যতগুলো দেশ থেকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ এসেছে, তার সবগুলো রাখা ইইউর পক্ষে সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, “ইইউ থেকে একটি নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দল এসেছে। যার মাধ্যমে ইইউ বাংলাদেশের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।”
ইসির সঙ্গে ইইউর বিশেষজ্ঞদের বৈঠকে সিইসি কে এম নূরুল হুদা ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও ইসির জনসংযোগ পরিচালক যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামন উপস্থিত ছিলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মত ইউরোপীয় পার্লামেন্টও মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশে কোনো পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে গৃহীত এক প্রস্তাবে নির্বাচনের বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়।
এ নির্বাচন ‘শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছতার সঙ্গে’ হবে বলে আশা প্রকাশ করে সেখানে সব রাজনৈতিক পক্ষকে ‘সহিংসতা ও উসকানির পথ’ পরিহারের আহ্বান জানানো হয়।
গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, নির্বাচন হতে হবে এমনভাবে যাতে ‘জনগণের ইচ্ছার’ যথার্থ প্রতিফলন ঘটে। (বিডি নিউজ)