নিন্মমানের কাজ আর সঠিক নিরিক্ষা না হওয়ায় বার বার ধ্বসে যাচ্ছে মনপুরা রক্ষা বাঁধ,ঝুকিকে পুরো উপজেলা

0
29

মো: আফজাল হোসেন ।। নিন্মমানের কাজ আর সঠিক নিরিক্ষা না হওয়ায় বার বার ধ্বসে যাচ্ছে মনপুরা রক্ষার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টি স্বিকার করলেন। তবে আরো টেকসই কাজের প্রতি গুরুক্ত দিয়ে নতুন প্রকল্পর কথা বল্লেন পানি উন্নয়েন বোর্ড কর্মকর্তা। বার বার এমনটা হওয়ায় হতাশ এলাকাবাসি। ঝুকির মধ্যে মনপুরা উপজেলা।

দ্বীপজেলা ভোলার আরেক দ্বীপ মনপুরা উপজেলা। প্রাচীনতম উপজেলার চার পাশটাই মেঘনা নদী বেস্টিত। এক সময় পতুর্গীজরা এই উপজেলাকে বেছে নিয়েতারা এখানে বসবাস করতো। এটা ছিলো তাদের জন্যএকটি নিরাপদ স্থান। বর্তমানে সেই প্রাচীন দ্বীপটি বিলিনের পথে। যে কারনে নদীর সাথে যুদ্ধ করাটাই এখানকার মানুষেরর প্রধান কাজ। দীর্যদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজরীত মনপুরাকে রক্ষার্থে প্রায় ১২৫কোটি টাকার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ রক্ষা ও নদী ভাঙ্গন রোধ প্রকল্প গ্রহন করে। তবে কাজের শুরু থেকেই নানান ধরনের অনিয়মের অভিযোগ দিয়ে আসছে স্থানীয় বাসিন্দারা। মো: শেখ ফরিদ.রিপন ও মো: ফিরোজ আলম বলেন,যার মধ্যে বালু দিয়ে বাঁধ নির্মান,ব্লক ও জিও ব্যাগ কম ফেলা নিয়ে সোচ্চার এলাকাবাসী। তবে তারা বলেন,কাজের মান খুবই খারাপ। শুরু থেকেই আমরা বাঁধা দিয়ে আসলেও তারা আমাদের কথা শিউনছে না। নানান ধরনের ভয়ভিতি দেখিয়ে যাচ্ছে। মনপুরার উত্তর মাথার তুলাতলী নামকস্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এবং  নদী ভাঙ্গন রোধে ব্লক স্থাপন করার চরম অনিয়ম করেই যাচ্ছে। স্

থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে কাজ করা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা সব সময়ই বিষয়টি এরিয়ে যাওয়ায় কাজের গুনগত মান নিয়ে ক্ষোভ বৃদ্ধি পেতে থাকে সাধারন মানুষ ও সচেতন মহলের। যা নিয়ে একাধিক রিপোর্ট হয়েছে। রিপোর্ট হলেই কিছু দায়সারা কাজ করেই শেষ। এবার দেখা গেছে ধ্বসে যাওয়া ব্লকের পাশ দিয়েই মাটি কেটে ব্লক বসানো হচ্ছে। এসব অনিয়ম নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড মানতে নারাজ। তবে স্থানটিযে ঝুকিপুর্ন এবং সাজের পুর্বে নিরিক্ষার সময় যে ভুল হয়েছে তা স্বিকার করে নিলেন কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড এর সাইড ইঞ্জিনিয়ার মো: সুজন।তিনি বলেন সঠিক ভাবে রিক্ষীকা করেকাজ করলে এমনটা হতো না,যার উধাহরন তিনি পাশের কাজ গুলোর দিয়েছেন। সঠিক কাজ করে ঐতিহ্যবাহি মনপুরাসহ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে রক্ষা করবে এমনটাই দাবী স্থানীয়দের। না হলে আসন্ন বর্ষায় ঝুকিতে পরবে উপজেলাটি। স্থানটি এতটাই ঝুকিপুর্ন যে কাজের জন্য আনা একটি বার্জ ডুবে যায় যা আদৌ তোলা সম্ভব হয়নি। এছাড়া ব্লক এবং জিও ব্যাগ কম দেয়ার অভিযোগতো রয়েছে স্থানীয়দের।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ,হাসান মাহমুদ সরাসরি নিরিক্ষায় ভুল ছিলো তা স্বিকার না করলেও তিনি বলেন,এই স্থানটি খুবই ঝুকিপুর্ন। না হলে একই সাথে আরো দুটি কাজ হয়েছে সেখানে এত সমস্যা না হলেও এখানে কেন হচ্ছে বলে এক রকম স্বিকার করে নেন এইস্থানটিতে তাদের ভুল ছিলো তা। নির্বাহী প্রকৌশলী আরো বলেন,এই জায়গার আরো শক্তি শালী ডিজাইন আমার লিখেছিলাম। তারাও সেটা দিয়েছেন। আরো শক্তিশালী করার জন্য একটা প্রস্তাবনা দিয়েছি। সেটা পাশ হলেইআরো বেশি মালামাল দিয়ে আমরা স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙ্গন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ শক্তিশালী করতে পারবো।

তবে স্থানীয় সাধারন মানুষ,ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষের দাবী সরকার শত শত কোটি টাকা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন রোধের জন্য কাজ করছে আর সেগুলো সঠিক তদারকির অভাবে নিন্মমানের কাজ হয় তা হলে ক্ষতি এলাকার।যে কারনে সঠিক ভাবে যাতে কাজ হয় তার তদারকির দাবী জানান।

LEAVE A REPLY