ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।বোর্ড এ্যাফিলিয়েটেড সোসাইটি ফর মেডিকেল টেকনোলজি ইন্সটিটিউশন (বামি’র) নেতৃবৃন্দ ঢাকায় এক সেমিনারে বক্তারা স্বাস্থ্যখাতে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে নার্সিং ও মেডিকেল টেকনোলজি শিক্ষাকে আরো যুগোপযোগী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, সার্কুলার দিয়ে জাতীয় সংসদে পাসকৃত কোনো আইন রহিত বা বাতিল করা যায় না। তারা বলেন, বিদ্যমান আইনে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে “ডিপ্লোমা-ইন-মেডিকেল টেকনোলজি ও নার্সিং” কোর্স পরিচালিত হয়ে আসছে। এখন আমলাতান্ত্রিক প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যেই এটিকে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের অধীনে নেয়ার আড়ালে বিকাশমান এ সেক্টরকে ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে। তারা এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।
বোর্ড এ্যাফিলিয়েটেড সোসাইটি ফর মেডিকেল টেকনোলজি ইন্সটিটিউশন (বামি’র) উদ্যোগে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সেমিনারে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম। সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান। সভাপতিত্ব করেন বামি উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এম এ বাসেদ। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বামি সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. এম. কিরন। সঞ্চালন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন।
সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধু কেরানীনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে স্বাধীন দেশের উপযোগী কারিগরি ও প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ জনবল গড়ে তোলার লক্ষ্যে কুদরত-ই খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। সে চিন্তার আলোকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করছে। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে স্বাস্থ্য সেক্টরে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মেডিকেল চিকিৎসার মানোন্নয়নে টেকনোলজিস্টদের ভূমিকা তুলে ধরে এ শিক্ষাবিদ বলেন, কোন পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই দেশের বিকাশমান টেকনোলজি ও নার্সিং শিক্ষার কর্তৃত্ব পরিবর্তন যুক্তিযুক্ত নয়।
সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম বলেন, জাতীয় সংসদের আইন কোন আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে বাতিলের সুযোগ নেই। নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের যে কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সনদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদান করতে পারে। অন্য কোনো সংস্থার এ ধরনের এখতিয়ার নেই।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. এম. এম. কিরন বলেন, সার্কুলার দিয়ে কোর্স বন্ধের সিদ্ধান্ত নার্সিং ও মেডিকেল টেকনোলজি শিক্ষা ধ্বংসের চক্রান্তের অংশ। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রায় ৪ শত মেডিকেল টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে প্রায় ৩২ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বের হয়েছে এবং প্রায় ২৫ হাজার ছাত্র/ছাত্রী বিভিন্ন ট্রেডে অধ্যয়নরত রয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে নার্সিং ও মেডিকেল টেকনোলজি কোর্সে চলতি বছর ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেওয়ায় বিকাশমান প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস ছাড়াও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এবং পাশকৃত টেকনোলজিস্টগণের চাকুরীতে ভয়াবহ জটিলতা সৃষ্টি হবে।