স্টাফ রিপোর্টার/ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট : ভোলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকা চাঁদা না দিলে, মাদক দিয়ে ক্রসফায়ার করিয়ে হত্যা করা হবে বলে হুমকির অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ী মো. মেজবাহউদ্দিন(রিপন)। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ভোলা শহরের একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী মো. মেজবাহউদ্দিন (রিপন) বলেন, তাঁর বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের পরানগঞ্জ বাজারে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে পরানগঞ্জ বাজারে স্যানেটারি ব্যবসা করছেন। ব্যবসায়ী মো. মেজবাহউদ্দিন (রিপন) বর্তমানে ভোলা সদরের আবহাওয়া অফিস সড়কে বসবাস করেন। তার দুই ছেলে এক মেয়ে। তাঁরা লেখা পড়া করে।
গত শনিবার (৭জুলাই) রাত ১০টার সময় ভোলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তাঁর আবহাওয়া অফিস সড়কের বাসায় মো. মেজবাহউদ্দিনকে ডেকে নিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি টাকা দিতে অপরগতা জানালে তাকে গালমন্দ করে বাসা থেকে বের করে দেয়। পর দিন সকাল বেলা মোবাইলে (০১৯১৯-৩৫০৫৫৬) আবারও তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ টাকার জন্য কামরুজ্জামান তাকে ৯ বার ফোন করেন। মেজবাহউদ্দিন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সহকারী পরিচালক তাকে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা করবেন বলে হুমকী দেন।
ব্যবসায়ী মেজবাহউদ্দিন আরও বলেন, মাদকদ্রব্যের কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁর বড় ভাই সেনাবাহিনীর বড় কর্মকর্তা, ইতিপূর্বে ঢাকায় ক্রসফায়ার করে ৯টি খুন করিয়েছেন। মেজবাহউদ্দিনকে দিয়ে ১০টি পূরণ হবে। তিনি বাংলাদেশের যে কোনো স্থানেই থাকুন না কেনো, মেজবাহউদ্দিকে চরম শিক্ষা দিয়ে ছাড়বেন।
মেজবাহউদ্দিন বলেন, তিনি একজন ছোট ব্যবসায়ী। তাঁর পক্ষে ২লাখ টাকা দেওয়া সম্ভব না। কোনো মতে ছেলেমেয়ের লেখা পড়া করাচ্ছেন। এ অবস্থায় সহকারী পরিচালকের হুমকীতে ভয়ে ভীত অবস্থায় আছি। এ অবস্থায় ন্যায় বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা দাবি করছি।
তবে ভোলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁর এবং মো. মেজবাহউদ্দিন দুজনের একই পাড়ায় পাশাপাশি বাড়ি। তার সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে তিনি অশ্লিল শব্দ ব্যবহার করেছেন। কিন্তু চাঁদা দাবি করেননি, মাদক দিয়ে ধরিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা করার অভিযোগটিও সত্য নয়। একটি পক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।