রাকিব উদ্দিন অমি,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। তিনটি থানকুনি পাতায় করোনাভাইরাসে মুক্তি এমন স্বপ্ন জৈনপুরী পীর সাহেব দেখেননি এটি সম্পূর্ণ গুজব।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) মধ্য রাতে জৈনপুরী পীর সাহেব স্বপ্নে দেখেছেন “তিনটি থানকুনি পাতা আর এক গ্লাস পানি খেলে করোনাভাইরাস ছুঁতেও পারবে না” আর এই রাতের মধ্যেই পাতা তিনটি খেতে হবে এমন একটি গুজব ছড়িয়ে পরে। রাত ৩ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত খবরটি মোবাইলে ফেসবুকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরলে মানুষ বিভিন্ন বাড়ির আঙিনায় বাগানে থানকুনি পাতা সংগ্রহ জন্য ছোটাছুটি করে।
লোক মুখে শোনা যায় একটি পাতা ২০/৩০ টাকাও বিক্রি করেন অনেকে।এই গুজবে শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।শুধু ভোলায় নয় ভোলা জেলার আসে পাশে বরিশাল বিভাগের সব জেলায় এমন খবরে মানুষ ঘুম থেকে উঠে একে অপরকে ঘুম থেকে উঠিয়ে পাতা সংগ্রহের জন্য, বাগানে বিভিন্ন এলাকার বাড়ির আঙিনায় ক্ষেতে যে যেভাবে যেখানে শুনেছে পাতা পাওয়া যাবে সেখানেই ছুটে গিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির আশায় তিনটি করে পাতা খেয়েছেন অনেকে।
করোনা ভাইরাসের রোগ থেকে মুক্তির আশায়।
যারা এই থানকুনি পাতা খেতে পারেনি তাদের নতুন করে বুধবার গুজব ছড়ানো হয়েছে শনিবার ফজরের আজানের আগে ৫ টি থানকুনি পাতা খেলে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
এই গুজব নিয়ে জৈনপুরী খানকার প্রধান দায়িত্বেে থাকা খাদেম , মোঃ জাহিদুল হক শুভ আজ সকালে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তথ্য জানান থানকুনি পাতা খাওয়া এটি সম্পূর্ণ গুজব এই গুজবে কান না দেওয়ার আহবান জানান।
জৈনপুরী খানকার প্রধান দায়িত্বেে থাকা খাদেম মোঃ জাহিদুল হক শুভ ভোলা নিউজ২৪ডটকম কে জানান, এগুলো হচ্ছে এক প্রকার গুজব, আপনারা কেউ এই গুজবে কান দিবেন না।
কিছু ইসলাম বিদ্বেষী কুচক্রী মহল ইসলামের ভাব মুর্তি এবং আমাদের ঈমান নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, জৈনপুরী পীর ছাহেব হুজুর এই ধরনের কোনো কথা বলেননি,তাই সকলে সতর্ক থাকুন, গুজবে কান না দিয়ে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন।
এই ভাইরাস- যা পূর্বে বিজ্ঞানীদের অজানা ছিল- এর মধ্যেই চীনে অনেক মানুষের ফুসফুসের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করেছে এবং বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাসটা কী?
করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস – যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি।
সারাবিশ্বে এরই মধ্যে ১৫০টির বেশি দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস, বিশ্বব্যাপী প্রাণহানি হয়েছে ৭ হাজারের বেশি মানুষের।
ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯ – এনসিওভি বা নভেল করোনাভাইরাস। এটি এক ধরণের করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরণের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি।
২০০২ সাল থেকে চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) নামে যে ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৭৭৪জনের মৃত্যু হয়েছিল আর ৮০৯৮জন সংক্রমিত হয়েছিল। সেটিও ছিল এক ধরণের করোনাভাইরাস।
নতুন এই রোগটিকে প্রথমদিকে নানা নামে ডাকা হচ্ছিল, যেমন: ‘চায়না ভাইরাস’, ‘করোনাভাইরাস’, ‘২০১৯ এনকভ’, ‘নতুন ভাইরাস’, ‘রহস্য ভাইরাস’ ইত্যাদি।
এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয় কোভিড-১৯ যা ‘করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ।