জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া হয়েছে : পুলিশ

0
4

ভোলা নিউ ২৪ ডটকম : জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন ২৩টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে; যাতে ৬৫ জন ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার হোলি আর্টিজান হামলার পাঁচ বছর উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

সিটিটিসির প্রধান বলেন, ভয়াবহ হামলার তদন্তভার সিটিটিসিকে দেওয়া হলে সিটিটিসি স্বল্পতম সময়ে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সব সন্ত্রাসী, পরিকল্পনাকারী, অর্থ যোগানদাতাসহ অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করে। (সংগৃহীত এনটিভি অনলাইন)

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে অভিযান পরিচালনা ও আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে।

সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের অংশগ্রহণে এ পর্যন্ত এ ধরনের ১৭৪টি কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে ৩৯ হাজার ৪০০ জনকে উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করে তোলা হয়েছে বলে জানান আসাদুজ্জামান। এর মধ্যে ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো উগ্রবাদবিরোধী জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর জঙ্গিবিরোধী ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বাস্তবায়নে সিটিটিসি নিরলসভাবে কাজ করছে। জঙ্গি সংগঠনগুলোর বড় ধরনের নাশকতা করার সক্ষমতা এখন একেবারেই নেই। সিটিটিসি তাদের নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে দিয়েছে বলেও জানান আসাদুজ্জামান।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতেরবেলায় গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর হোল্ডিংয়ের হোলি আর্টিজান বেকারিতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। প্রশিক্ষিত পাঁচ জঙ্গি রোজার ঈদের এক সপ্তাহ আগে পিস্তল, সাবমেশিনগান আর ধারালো অস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালায়। জঙ্গিরা জবাই ও গুলি চালিয়ে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরদিন কমান্ডো অভিযান পরিচালনা করা হয়। পাঁচ জঙ্গির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সংকটের অবসান হয়।

নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালীয়, সাতজন জাপানী, একজন ভারতীয়, একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকান এবং দুজন বাংলাদেশী। সেদিন অভিযানে মোট ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়।

এ ঘটনায় ওই বছরের ৪ জুলাই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা হয়। তদন্তে ২১ আসামির সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে পাঁচজন ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’-এ নিহত হন। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে আরও আটজন নিহত হন।

এ ছাড়া আদালত এই মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন।

LEAVE A REPLY