আইনমন্ত্রীর বক্তব্য সংবিধান পরিপন্থি : ব্যারিস্টার খোকন

0
5

ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সংসদে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্য সংবিধান পরিপন্থি, আইনমন্ত্রী হিসেবে তাঁর এ বক্তব্য শপথ ভঙ্গের শামিল। এ বক্তব্য সমগ্র জাতিকে হতাশ করেছে। এটি ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রতিহিংসা ও নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সংবিধানের ১৪৮ ধারা অনুসারে আইনমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। সেই অনুসারে ১৪৮ ধারা পর্যালোচনা করলে আমার মনে হয় আইনমন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেন। একজন সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে আইনমন্ত্রীকে সবিনয়ে অনুরোধ করব, আপনার বক্তব্য ও সংবিধানের শপথ পর্যালোচনা করে পদত্যাগ করা উচিত বা উচিত কিনা সেই ব্যাপারে আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন। সরকারের ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে গেছেন। সরকারই তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে পাঠায়। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪০১ ধারায় তাঁকে দুই শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়। (সংগৃহীত এনটিভি অনলাইন)

মাহবুব উদ্দিন খোকন আরও বলেন, খালেদা জিয়া তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছেন, যেগুলো এখনও বিচারাধীন আছে। এ অবস্থায় আইনমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বেগম জিয়াকে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার শর্ত দেওয়ার মধ্যমে তিনি কী বুঝাতে চেয়েছেন? তিনি কি বুঝাতে চেয়েছেন খালেদা জিয়া সুপ্রিম কোর্ট থেকেও ন্যায়বিচার পাবেন না? তাঁর এ বক্তব্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে হেয় এবং অসম্মান করেছে বলে আমি মনে করি। তিনি এটা বলতে পারেন না

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছেন নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালত আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন। সুপ্রিম কোর্টেও বিচারক নিয়োগের কোনো নীতিমালা নেই। সরকার দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেয়। এ জন্যই কি আইনমন্ত্রী বেগম জিয়ার আপিল নিষ্পত্তির আগে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন?

‘৪০১ ধারা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এটি আর পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই। থাকলে তিনি আইন পেশা ছেড়ে দিবেন’ আইনমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আনিসুল হক একজন ভালো আইনজীবী। আমি চাই না তিনি আইন পেশা ছেড়ে চলে যান।’

বিএনপির এই আনজীবী বলেন, একজন অসুস্থ, বয়োজ্যেষ্ঠ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আইনমন্ত্রীর কর্কশ বক্তব্য সরকারের প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে অনেকগুলো শর্ত দিয়েছিল। সুতরাং শর্ত দেওয়া বা প্রত্যাহার করা সম্পূর্ণ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা মোতাবেক সরকারের এখতিয়ার। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা মোতাবেক সরকারের শর্ত সংশোধন করে খালেদা জিয়াকে মুক্তভাবে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

LEAVE A REPLY