চরফ্যাসন প্রতিনিধি।। ভোলার চরফ্যাসন নুরাবাদ ইউনিয়নের কাছিয়াখালি গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়েছে প্রেমিক। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অবস্থান নিয়েছিল। পরবর্তীতে পুলিশ মেয়েটিকে প্রেমিকের বাড়ী থেকে থানায় নিয়ে আসে।
চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ ৯নং ওয়ার্ডের হারুন পাটওয়ারীর ছেলে মোঃ রাফিজ পাটওয়ারী (১৮) ও একই এলাকার দশম শ্রেণীর এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে জানা যায়। গত ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরীকে তার বাড়ি সংলগ্ন বাগানে নিয়ে বিয়ের কথা বলে ধর্ষন করে। পরে মেয়েটির পরিবার ও স্থানীয়রা টের পেয়ে রাফিজকে হাতেনাতে আটক করার চেষ্টা করলে রাফিজ পালিয়ে যায়।
সংবাদিকদের কাছে ওই কিশোরী অভিযোগ করে বলেন, রাফেজের সাথে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত ৩ বছর ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাফিজ কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে আসছে।
কিশোরী আরো বলেন, রাফিজ আমার এই সর্বনাষ করেছে তাই সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে রাফিজের স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে তাদের বাড়ীতে আমি অবস্থান নিয়েছি। রাফিজ পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া স্বম্ভব হয়নি। তবে রাফিজের বাবা হারুন পাটওয়ারী বলেন, আমার ছেলে এরকম কোন কাজ করতে পারে না। এলাকার মানুষ স্বড়যন্ত্র করে এই মেয়েকে আমার বাড়ীতে পাঠিয়েছে।
কিশোরীর মা এ প্রতিবেদেককে জানান, হারুন পাটওয়ারীর ছেলে রাফিজ আমার মেয়ের সর্বনাষ করেছে আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল হোসেন বলেন, কিশোরী থানা হেফাজতে আছে। কিশোরী ও তার পরিবারের অভিজোগ পাওয়া গিয়েছে, থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে