চরফ্যাশনে জমে উঠেছে কোরবানী পশুর হাট

চরফ্যাশনে জমে উঠেছে কোরবানী পশুর হাট

0
287

সোহেব চৌধুরী,চরফ্যাশন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।।পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চরফ্যাশন উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট। আসছে ১২ ই-আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা, সপ্তাহখানেক বাদেই আল্লাহকে খুশি করার জন্য কোরবানি করবেন মুসলিম উম্মাহ। আর তাই পছন্দের গবাদীপশু কিনতে সারা দেশের ন্যায় চরফ্যাশনের হাটগুলোয় জমে উঠেছে ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়ে।

উপজেলার জনতাবাজার,কেরামতগঞ্জ,দুলারহাট, শশিভূষন,দক্ষিন আইচা ও পৌর বাজারের শরিফপারা গরুর হাট ঘুরে দেখা যায় গরু ছাগল কেনা বেচা হচ্ছে চড়া মূল্যে। গতকাল ৩ আগস্ট বিকেলে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সংলগ্ন প্রায় ৬ একর জমিতে অবস্থিত গরুর হাটে শতশত গরু মহিষ ও ভেড়া ছাগল বিক্রি করতে ভিড় জমিয়েছেন গরু ছাগলের ব্যাপারী,খামারি ও গৃহস্তরা। তবে হাট ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় গবাধিপশু বিক্রি করছেন গৃহস্থ ও খামারিরা। জিন্নাগড় ১নং ওয়ার্ডের ক্রেতা ওজিউল্লাহ মিয়া বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার গরু ও ছাগলের মূল্য একটু বেশি, তবে মধ্যত্তিদের জন্য মোটামুটি হাতের নাগালেই আছে তবে একই ওয়ার্ডের গোলাম মোস্তফা বলেন, গরুর মূল্য ১লাখ ১০ হাজার থেকে ৮৫-৮০ ও ৫৫ হাজার টাকা গরুর ওজন এবং জাত বিশেষে মূল্য হাকাচ্ছে খামারিরা। পৌর ৪নং ওয়ার্ডের খামারি আবুল কালাম বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার বেশি সুবিধা পাচ্ছিনা বেশি মূল্য চাওয়ায় ক্রেতারা আগ্রহি হচ্ছেনা তিনি আরোও বলেন, প্রতি বছর কোরবানিকে কেন্দ্র করে প্রায় ভালো জাতের ১০-১২টি গরু পালন করি এবং ঈদ মৌসুমে বিক্রি করি আমার কাছে শাহিওয়াল,হরিয়ানা, ও ফিজিয়ান বাংলা ক্রস আছে ৫টি এবং দেশি গরু আছে ৫টি প্রতিটি গরুর ওজন ৪-সাড়ে ৪মন। শ্রম ও খরচের হিসেবে ক্রেতারা কম মূল্য হাকাচ্ছেন। পৌর ১নং ওয়ার্ডের ক্রেতা মোঃ জামাল বলেন, গরু কিনতে এসেছি বাজার মূল্য ভালোই যাচ্ছে গরু ব্যাপারী ভারতের রাজস্থানী জাতের লাল রঙের প্রায় সাড়ে ৪মন ওজনের ১টি গরুর মূল্য হাকিয়েছেন ১লাখ ২০ হাজার টাকা আমি ঐ গরুটির দাম বলেছি ৯০ জার টাকা। তিনি আরোও বলেন শুধু গরু কিনলেই হবেনা গরুর বয়স,কতটি দাত কি জাত ও শিং দেখেই প্রতি বছর কোরবানি গরু বা মহিষ খরিদ করি। মহিষ বিক্রেতা আবুল হোসেন এ প্রতিকেদককে বলেন, আমার ৩টি হাইব্রিড জাতের মহিষ এনেছি বাজার মূল্যে ক্রেতারা মূল্য হাকিয়েছেন ৯৫ হাজার টাকা তবে আমি ২০ হাজারের জন্য বিক্রি করিনি তবে বাজারে বিদেশি গরু না আসায় বাজার মূল্য বেশি।

আমিনাবাদ ইউনিয়নের ছাগলের খামারি আকতার হোসেন মিয়া বলেন, এবছর কোরবানিকে ঘিরে আমার উৎসাহ উদ্দীপনা ভালোই ছিলো কিন্তু ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ছাগল বাজার মূল্য উঠেছে মাত্র ১৩-১৫ হাজার টাকা। আমার ১৬টি সংকর ও ১০টি ব্ল্যাক বেঙ্গল ও ৪টি রাম রাম ছাগল আছে। চরফ্যাশন উপজেলায় কোরবানি ঈদকে ঘিরে শুধু শরিফপাড়া হাটেই না পটুয়াখালির গলাচিপা, মুজিব নগড়, লালমোহন, গজারিয়া ও কর্তারহাটসহ বিভিন্ন স্থান থেকে খামারিদের কাছ থেকে ব্যাবসায়িরা গভাধি পশু এনে এ অঞ্চলে বিক্রি করছেন বলেও একাধিক ব্যাবসয়ি জানান। তবে এ বছর উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির জন্য কোরবানি পশুর বাজার মন্দা যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেক ব্যাবসায়ী।

শরিফপাড়া গরুরহাট ইজারাদার আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাটে গরু ৪১৬টি ভেড়া ১২টি ও ছাগল ৪৮০টি উঠেছে। গরু ও ছাগল প্রতি একশত টাকায় পাঁচ টাকা খাজনা বা ইজারা চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বলেন, এবছর সারাদেশে প্রচুর দেশি গরু ও ছাগলের উৎপাদন হয়েছে। এবং চরফ্যাশন উপজেলার প্রতিটি খামারে চাহিদার তুলনায় প্রচুর দেশি ও বিভিন্ন সংকর জাতের গরু ছাগল ও ভেড়া পালন করা হয়েছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের টিম প্রয়োজনিয় ভ্যাকসিন ও ওষুধ সরবারাহ করেছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY