স্টাফ রির্পোটার,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ভোলায় প্রচুর বৃষ্টি ও বাতাস বইছে। উপকূল অঞ্চলে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ছে।উত্তল হয়ে উঠেছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। নদী উত্তাল থাকায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরিসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে একই সঙ্গে হালকা বাতাস বইছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আবু জাফর জানান, সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার সকাল পর্যন্ত ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে বাতাসের গতিবেগ স্বাভাবিক রয়েছে। বিকেলের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ভোলার সাত উপজেলায় ৭৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার ও এক হাজার ৩০৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও সাত উপজেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া মানুষদের জন্য শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, ফেনীর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ার থেকে ৫ থেকে ৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম উপকূলে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা থেকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।