ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় তিন স্তরের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশসন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের হলরুমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় একথা জানান জেলা প্রশাসক (ডিসি) তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী।
ডিসি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় দুর্যোগের আগে, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তীসহ তিন স্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার সাত উপজেলায় ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ছয়টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত করা করা হয়েছে। ৯৩টি মেডিকেল টিম, আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ১৩ হাজার ৬০০ সিপিপি সদস্য ও প্রায় পাঁচ হাজার রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আট লাখ টাকা, ৩৫০ মেট্রিক টন চাল, ১৬৪ বান্ডিল ঢেউটিন ও গৃহ নির্মাণের জন্য চার লাখ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ভোলায় ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ঝড়ের আগে, দুর্যোগের সময় এবং দুর্যোগের পরবর্তী এই তিন ধাপের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, কোস্টগার্ডের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।
এছাড়া সিপিপি, রেডক্রিসেন্ট, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
ভোলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এস,এম, দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আমরা সার্বিক বিষয় নিয়ে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছি। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে সঙ্গে মিটিং করে তাদেরকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছি। বিপদ সংকেত দেওয়া হলে তারা এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে উপকূলীয় জেলার জেলেরা নিরাপদ আশ্রয়ে তীরে ফিরতে শুরু করেছেন। একই সঙ্গে মাঠে থাকা পাকা ধান ইতোমধ্যে কেটে ঘরে তুলছেন কৃষকরা।
প্রসঙ্গত, আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য মতে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে প্রবল ও শুক্রবারের (১২ মে) মধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।