কোটা বাতিলের প্রতিবাদে শাহবাগে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ

0
270

ভোলা নিউজ২৪ডটনেটঃসরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিলের প্রতিবাদে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। বুধবার (৩ অক্টোবর) রাত ৯টা থেকে তারা শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দাবি, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখতে হবে।

বুধবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরি থেকে সব ধরনের কোটা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ব্যানারে এ আন্দোলন করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের একটি মিছিল রাত ১২টার দিকে এসে শাহবাগে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমান্ডের অবস্থান কর্মসূচিতে যোগদান করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ এস এম আল সনেট  বলেন, ‘আমরা কোটা বাতিলের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অবস্থান নিয়েছি। আমরা চাই, সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখা হোক।’ এসময় তারা ‘মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্ত মানি না, মানব না’ ও ‘বঙ্গবন্ধুর উপহার, কোটা মোদের অধিকার’সহ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল সরকার গঠিত সচিব কমিটি। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সচিব কমিটির সেই সুপারিশই অনুমোদন দেওয়া হয়।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

ছয় দফা দাবি হলো-

১. সামাজিক মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে ৷

২. মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে ৷

৩. ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিসিএসসহ সব চাকরির পরীক্ষায় প্রিলিমিনারি থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়ন করতে হবে ৷

৪. মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে ৷

৫. স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার ও বংশধরদের চিহ্নিত করে সরকারি সব চাকরি থেকে বহিষ্কার, নাগরিকত্ব বাতিল ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের অনুকূলে ফেরত নিতে হবে ৷

৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ৷

LEAVE A REPLY