ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার ২২দিন না যেতেই জাটকায় নিষেধাজ্ঞা : হতাশা ভোলার জেলেদের মাঝে

0
17

মো: আফজাল হোসেন।। মা ইলিশ রক্ষায় ২২দিন ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ না হতেই ৫দিন পরই জাটকা ইলিশ ধরার উপর শুরু হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। আজ ১নভেম্বর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। যা আগামী বঝর ৩০জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ফলে হতাশ ভোলার মেঘনা পাড়ের জেলেরা। দেনার উপর দেনায় ডুবে যাচ্ছে বলে চরম জেলেদের মাঝে।
আজ ১নভমেম্বর। গত ২৫অক্টোবর শেষ হয়েছে মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞার ২২দিন। ৫দিন না যেতেই আবারো শুরু হয়েছে জাটকা ইলিশ না ধরার অভিযান। ১ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন আট মাস জাটকা (২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত দৈর্ঘের ইলিশ) ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে। ইলিশের প্রজনন মৌসুম শেষ হওয়ার পর এখন মা ইলিশের ডিম থেকে উৎপাদিত জাটকা (ছোট সাইজের ইলিশ) রক্ষা করার সময়। আর তাই প্রজনন মৌসুম শেষ হওয়ার ৫দিনের মাথায় দেশের সব নদ-নদীতে সোমবার থেকে জাটকা ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে জেলেদেরকে। এই আট মাস জাটকা ধরা, বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন সম্পূর্ণরুপে বন্ধ থাকবে। তবে বড় আকারের ইলিশ ধরতে কোন বাঁধা নেই।
এদিকে সকল জেলেদের দাবি, সাগর ও নদীতে জাল ফেললে ছোট-বড় প্রায় সব সাইজের ইলিশ ধরা পড়ে। জালে মাছ বাঁধার পর আর ফেলে দেয়া হয় না। এ অবস্থায় ছোট ফাঁসের জাল উৎপাদন বন্ধের দাবি উঠেছে। একই সাথে জেলেরা জাটকা ধরা বন্ধ থাকাকালীন সময়ে প্রয়োজনীয় সাহায্যের দাবিও জানিয়েছেন। শুধু তাই তাদের দাবী মুলত নিষিদ্ধ যেসব জাল জাটকা নিধন করছে সেসব জাল কেন ধরা হচ্ছে না। প্রকাশ্যে এসব জাল দিয়ে প্রভাবশালী শত শত টণ জাটকা ধরছে প্রশাসন কোনই ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আগে ঈসব জাল বন্ধ করতে হবে বলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন,জেলার দৌলতখান উপজেলার আব্দুর রহিম মাঝি। মো: মিজান বলেন,আমরা অসহায় তাই সরকার ঘুরেই আমাদের উপর জুলুম করছে। নিষিদ্ধজাল কেন ধরছে না। আমাদের জালে ২/৪টা জাটকা ধরা পরলেই হয়রানীর শেষ থাকে না। এবছর ইলিশ পাওয়া যায়নি,তার উপর চাঁদাবাজি আর ডাকাতিতো রয়েছেই।
ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আজহারুল ইসলাম বলেন,মা ইলিশ ডিম ছাড়ার পর তা পর্যায়ক্রমে রেনু, জাটকা এবং পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ ইলিশে পরিণত হয়। ডিম থেকে রেণু তৈরি হওয়ার পর পরিপূর্ণ ইলিশে পরিণত হতে সময় লাগে। তাই ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আটক মাস দেশের সব নদ-নদীতে জাটকা ধরা বন্ধ থাকবে। জাটকা রক্ষা করা গেলে আগামী মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন বেশি হবে বলে তার আশাবাদ। এজন্য আমরা সাধারন জেলেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়াও প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া সকল নিষিদ্ধ জালের বিষয় আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং আগামীতেও থাকবে।

LEAVE A REPLY