ইলিশা লঞ্চঘাট দখল নিয়ে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮

0
1192

বিশেষ প্রতিনিধি ॥
ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটের ইলিশা লঞ্চঘাট দখল নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সোহেল ও রিয়াজের অবস্থা আশংকাজনক। সোহেলের মাথায় ৭টি সেলাই দেয়া হয়। সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের মালিনাকাধীন সোহানা এন্টার প্রাইজ নামে ঘাটটি এক মাসের জন্য ইজারা দেয় বিআইডব্লিউটিএ। চলতি মাসের ২৯ আগস্ট ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আবার নতুন টেন্ডারে এক বছরের জন্য এ ঘাট ইজারা নেন জগন্নাথ বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সম্পাদক মাকসুদুর রহমান। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিনের অন্তঃবিরোধ মিটিয়ে ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মিয়া সিরাজ উদ্দিন, সম্পাদক হোসেন শহীদ সরোয়ার্দ্দী ও ইউপি মেম্বার সাজল বেপারী একজোট হয়ে ঘাটের দখল নিতে আসলে সংঘাতের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এদের সমর্থিত গ্রুপ শুক্রবার ভোরে ঘাট দখল নিতে হামলা চালায়। এরা ইজারাদার মিজানুর রহমান ও তার ভাই আকতার হোসেনের লোকজনকে মারধর করে ঘাট থেকে তাড়িয়ে দেয়। স্থানীয়রা জানান, গত মাসের ইজারার সময় মিয়া সিরাজ উদ্দিন ও সরোয়াদ্দি মাস্টার   মিজানুর রহমান ও আক্তার হোসেনের পক্ষে ছিলেন। ওই সময় এদের সঙ্গে বিরোধ ছিল সাজল বেপারী ও তার ভাই ফারুক বেপারীর সঙ্গে। ইজারাদার আকতার জানান, গত কয়েক মাসের ইজারার টাকা তারা পরিশোধ করলেও ঘাট থেকে যে টাকা আয় হয়েছে তার পুরোটাই নিয়েছেন মিয়া সিরাজ ও সরোয়ার্দ্দি মিয়ারা। এবারের ইজারার সময় মিয়া সিরাজের কাছে টাকা চাইলে তিনি বেঁকে বসেন। এমন কি ইজারা না নিয়ে ঘাট দখলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন।
সি-ট্রাকের ইজারাদার আক্তার হোসেন জানান, শুক্রবার ঘাট দখল নিয়ে এরা সিট্রাকের প্রতিট্রিপ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সি-ট্রাক চালানো বন্ধ করে দেন। ঈদকে সামনে রেখে বাড়ি ফেরা মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এদিকে ইলিশা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিয়া সিরাজ উদ্দিন জানান, শুক্রবার তিনি একটি লঞ্চের বিষয়ে সুপারিশ করতে গেলে মিজানুর রহমান ও আক্তারের লোকজন অসৌজন্য আচারণ করে। এটা মেনে নিতে পারেন নি তাদের (মিয়া সিরাজের) সমর্থিতরা। কাউকে মারধর করা হয়নি। তবে অভিযুক্তদের ঘাট থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে এমনটা জানান মিয়া সিরাজ।

LEAVE A REPLY