ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শহিদুল ইসলাম শাওন (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি।
শাওনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া।
তিনি বলেন, গতকাল মুন্সিগঞ্জ থেকে আহত অবস্থায় হাপাতালে আনা হয় শাওনকে।
তার মাথায় আঘাত ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ সদরের মুরমা গ্রামে ছোয়াব আলী ভুইয়ার ছেলে শাওন পেশায় মিশুক চালক ছিলেন। তার ভাই সোহানুর রহমান সোহান জানান, শাওন মীরকাদিম পৌরসভা যুবদলের কর্মী ছিলেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে শাওন ছিলেন বড়। স্ত্রী সাদিয়া আক্তার ও এক বছরের ছেলে আবরারকে নিয়ে মুন্সিগঞ্জে থাকতেন তিনি।
বুধবার মুন্সিগঞ্জ মুক্তারপুর ব্রিজের পাশে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। শাওনসহ সংঘর্ষে আহত ৩ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহত অন্যরা হলেন—জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০) ও তারেক (২০)। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও শাওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তারেক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছিলেন। আর জাহাঙ্গীরকে মিরপুর ডেন্টাল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পথচারী আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, বুধবার বিকেলে মুক্তারপুর ব্রিজের পাশে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় জাহাঙ্গীরকে। তার মুখমণ্ডলে গুরুতর জখম হয়েছে। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়। তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
আহত তারেক জানান, তিনি ছাত্রদল কর্মী। বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন সেখানে। পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তার কপালে আঘাত করেন।
শাওনের বন্ধু নাহিদ খান জানান, শাওন মিশুক চালাতো। যাত্রী নিয়ে সমাবেশে গিয়ে আহত হয়। আমরা জানতে পেরেছি পুলিশের গুলিতে শাওন আহত হয়েছিল।