ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম :: ভোলা শাহাবাজপুর হাসপাতালে অদক্ষ নার্সের ভুল চিকিৎসায় নবজাতক শিশু মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় পুলিশ ঐ নার্স এবং প্রাইভেট ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আটক করেছে। একটি গ্রুপ বিষয়টি চাপা দেয়ার চস্টো করছে। সমস্ত এমন নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছে ভোলাবাসী।
থানা পুলিশ এবং অভিযোগে জানাযায়,গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা শহরের সাহাবাজপুর জেনারেল হাসপাতারে এঘটনা ঘটে।অভিযোগ রয়েছে খালেদা নামের একজন আয়াকে নার্স দেখিয়ে কাজ করাচ্ছিলো দীর্য দিন ধরে ঐ প্রতিষ্ঠানে। ঐ হাসপাতালে গতকাল গর্ভবর্তী এক মাকে ভর্তি করাহয়। পরে তাদের ভুল চিকিৎসায় নবজাতক শিশু মারা গেলে মূহুর্তের মধ্যে শহর ছড়িয়ে পরলে উত্তেজিত জনতা কর্তৃক হাসপাতালে হামলার উপক্রম হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঐ হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।এসময় পুলিশ হাসপাতাল পরিচালক মোঃ হাসান এব ভুয়া নার্স খালেদাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। ঘটনা সূত্রে জানাযায়, পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের অকিল মাঝির ছেলেসুমনের স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রনা উঠলে তাকে শাহাবাজপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ভূয়া নার্স খালেদা চিৎকিসা শুরু করেন। এসময় একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। কিছুক্ষন পর হাসপাতাল থেকে বলা হয় নবজাতক বাচ্ছাটিকে দ্রত্য ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু তখন বাচ্ছাটি মৃত। পরিবারের অভিযোগ অদক্ষ নার্সের অজ্ঞতায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ভোলার এমন ঘটনা আরো বহু রয়েছে। শিব্বির নামের একজন ভুক্তভোগী বলেন,তার সন্তানকেও অপর একটি ক্লনিকি ভুয়া নার্স ও স্টাফ ভুল চিকিৎসায় মেরে ফেলে। তাদের হুমকি দেয়ায় তারা ভয়ে চুপ থাকে। অভিযোগ রয়েছে নার্স ও পরিচালককে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য একটি মহল থানায় তদবির করছে।
এবিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, প্রাথমিক ভাবে ঘটনায় সত্যতা মিলেছে। এঘটনায় মামলা গ্রহন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।