ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার অপেক্ষাকৃত নিম্নাঞ্চলের অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে ঘর-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট। ভেসে গেছে পুকুর-ঘেরের মাছ।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলার চরফ্যাশন উপজেলার কুকরি-মুকরি, ঢালচর, চর পাতিলা, মনপুরা উপজেলার চর নিজাম, কলাতরীর চর, চর যতীন, চর জ্ঞান, লালমোহন উপজেলার চর কচুয়াখালী থেকে গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাসেম মহাজন বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে চর পাতিলা, কুকরি-মুকরিসহ আমার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ৭ হাজার মানুষ।’
জোয়ারের পানিতে বসত ঘর, দোকান, ফসলি জমি ও পুকুর-ঘের তলিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সামাল হাওলাদার বলেন, ‘গতকাল থেকে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢালচর ইউনিয়নের সবকটি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে বসত-ঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও পুকুর-ঘেরের মাছ তলিয়ে গেছে। তবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা যাচ্ছে না।’
এ বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে নিম্নাঞ্চলের বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে কোথাও কোনো বেড়িবাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি।’
