ভোলায় তামাকের বিরুদ্ধে কর্মশালায় বক্তারা সচেতনতাই পারে তামাক মুক্ত সমাজ গড়তে

0
491

আদিল হোসেন তপু/ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট : ‘তামাক করে হৃদপিন্ডের ক্ষয়, স্বাস্থ্যকে ভালোবাসি তামাককে নয়’ এই স্লোগান নিয়ে ভোলায় তামাকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে সোমবার (৪ জুন) সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে  জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভোলা সিভিল সার্জেন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার।
কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল হালিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মৃধা মো. মুজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর সাফিন আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন, ভোলা প্রেসকাবের আহবায়ক এম এ তাহের, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান আযাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল কুদ্দুস, ভোলা জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো: আখতার হোসেন, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল কাদের, ভোলা জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো: জাকির হোসেন তালুকদার, একলাব ও চ্যানেল-২৪ প্রতিনিধি আদিল হোসেন তপু, বাসস’র স্টাফ রিপোর্টারা হাসনাইন আহমেদ মুন্না প্রমুখ।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, শখের বসে প্রথমে ধূমপান শুরু করা হয়, যা পরবর্তীতে ভয়াবহ আসক্তিতে পরিণত হয়। অধিকাংশ নেশার শুরু হয় তামাক বা সিগারেটের মাধ্যমে। এটা গ্রহনে সাময়িকভাবে শরীর ও মনে কিছুটা উৎফুল্ল অনুভূত হয়। কিন্তু স্থায়ীভাবে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব রেখে যায় তামাক। শুধু তামাক গ্রহনের ফলে যে পরিমাণ রোগ-বালাই হয়, তাতে এর চিকিৎসা করাতে বছরে বহু অর্থ ব্যয় হয়। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারি আইন বাস্তবায়নের পাশাপাশি পারিবারিক ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার আহবান জানান বক্তারা। একই সাথে ধূমপানমুক্ত সমাজ গঠনে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, মাদক কখনই এক জন মানুষের বন্ধু হতে পারে না। জীবনকে সুস্থ সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে মাদকে পরিহার করতে হবে। মাদক আপনার পরিবারকে সর্বনাশ ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেনা। তাই আসুন সবাই মিলে আগামী প্রজন্মকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হই। এবং যার যার অবস্থান থেকে মাদকে না বলার অঙ্গীকার করি।
এছাড়াও বক্তারা বলেন, সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বদ্ধপরিকর। তামাকের ব্যবহার হ্রাস করতে পারলে জনস্বাস্থ্য ও জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। জনগণকে তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে পারলে এর ব্যবহার দ্রুত কমে আসবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ৪৩ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৪ কোটি ১৩ লক্ষ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তামাক  সেবন করেন, যার মধ্যে ২৩ ভাগ (২ কোটি ১৯ লক্ষ) ধূমপানের মাধ্যমে তামাক ব্যবহার করেন এবং ২৭.২ভাগ (২ কোটি ৫৯ লক্ষ) ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করে থাকে।

LEAVE A REPLY