ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এখন প্রায় ২১ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। এ ছাড়া আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সব মিলিয়ে প্রায় ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হবে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের (৮ সেপ্টেম্বর) কর্মসূচি জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে প্রায় ৬৫ হাজার।
শূন্য পদ পূরণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই নিয়োগ দিতে গিয়ে তাঁদের মামলার মুখে পড়তে হয়। যেমন প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ নেওয়ার পর জাতীয়করণ হওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা মামলা করেছেন।
এক বছর আগে ৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েও যাঁরা ক্যাডার পাননি এমন ৮৯৮ জনকে নন-ক্যাডার হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন। এত দিনেও এই নিয়োগ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, পুলিশ প্রতিবেদনের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছেন। পেলেই নিয়োগ দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ সেম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০১৬’ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ।