দৌলতখানে গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার

0
400

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট।। দৌলতখান উপজেলায় যৌতুকের জন্য গৃহবধুকে নির্যাতনের ঘটনায় স্বামী মমিন পন্ডিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার দুপুরে উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের নতুন মসজিদ বাজারের পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়। এর ১৯ জানুয়ারী শনিবার নির্যাতনের শিকার গৃহবধু সাফিয়া বেগম বাদী হয়ে স্বামী মমিন পন্ডিতকে এক নম্বর আসামী করে শ্বাশুরী জোসনা, দেবর মহিবুল্লাহ ও আবি আব্দুল্লাহকে আসামী করে দৌলতখান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার আলোকে দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন, ওসি তদন্ত মো. রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজম অভিযান চালিয়ে মমিন পন্ডিতকে গ্রেফতার করে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, প্রায় ৯ বছর আগে মোবাইলের সূত্র ধরে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাফিয়া বেগমের সাথে ভোলার উত্তর দিঘলদীর ৫নং ওয়ার্ডের হারুন পণ্ডিতের ছেলে মমিন পণ্ডিতের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা দুজন পালিয়ে বিয়ে করে। সাফিয়ার পরিবার ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে মমিনকে ছাদ দিয়ে বাড়ি করে দেয়। প্রথমে বিয়ে মেনে না নিলেও পরে মেয়ের সুখের কথা ভেবে ঘর করে দেয় সাফিয়ার পরিবার। ঘরের ফার্নিচার, টিভি ও ব্যবসা করার জন্য জামাই মমিনকে আরও প্রায় ৪ লক্ষ টাকা দেয় শাফিয়ার পরিবার। বিয়ের ৩ বছর পর্যন্ত সুখে সংসার করার পর অশান্তি নেমে আসে তাদের পরিবারে। শাফিয়ার উপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। বিভিন্ন সময়ে সাফিয়া তার পরিবারের কাছ থেকে ৫ হাজার ১০ হাজার করে অনেক টাকা দেয় মমিনকে। এর মধ্যে একাধিক মেয়ের সাথে পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে মমিন। সাফিয়াকে চাপ দেওয়া হয় মমিনের জীবন থেকে সরে যেতে। শাফিয়া অপারগতা প্রকাশ করায় মমিনের ভাই, মা সহ পরিবারের সবাই মিলে অমানুষিক নির্যাতন করে শাফিয়াকে। বিভিন্ন সময়ে মুখ ও হাত-পা বেঁধে শরীরে বিভিন্ন স্থানে অমানুষের মত আঘাত করা হত। নির্যাতনের শিকার হয়ে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি মেরে ফেলার ভয়ে থানায়ও জিডি করে সাফিয়া।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারী বুধবার হাত-পা বেধে অমানুষিক নির্যাতন করা হয় শাফিয়াকে। পিটিয়ে থেতলে দেওয়া হয় তার সমস্ত শরীর। এঘটনায় সাফিয়া শ্বশুর বাড়ী থেকে পালিয়ে এসে হাসপতালে ভর্তি হয়। পরে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে দৌলতখান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আজম বলেন, মামলার প্রধান আসামী মমিন পন্ডিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

LEAVE A REPLY