মাইনুদ্দিন হাওলাদার,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।
গ্রামীণ ছোট-খাট দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিরোধ-বিবাদ দ্রুততম সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে, খুব সহজে নিস্পত্তি করার জন্য ১৯৭৬ সালে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ, গ্রাম আদালত আইন-২০০৬ (সংশোধন ২০১৩) ও গ্রাম আদালত বিধিমালা-২০১৬ প্রণয়ন করে সরকার।
গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে ‘অ্যাকটিভেটিং ভিলেজ কোর্টস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের (২০০৯-২০১৫) অর্জিত সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে সরকার ইউএনডিপি, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এর আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতায় ৫ বছর মেয়াদী (২০১৬-২০২০) বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প দেশের ৮টি বিভাগের ২৭টি জেলার ১২৮টি উপজেলার ১ হাজার ৮০টি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন করছে।
এর মধ্যে ভোলা জেলার ৫টি উপজেলার (বোরহানুদ্দিন,তোজুমুদ্দিন,লালমহন,চরফ্যাশন মনপুরা) ৪৮টি ইউনিয়নে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পটি চলমান রয়েছে।ভোলা জেলায় তাহার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য, চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ।এখানে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, গ্রাম আদালত সক্রিয় করনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন।নুরাবাদ ইউনিয়ন নিয়মিত এজলাস ব্যাবহার করে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন,অদ্য ৩০/০৯/২০২০ ইং তারিখ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হতে চরতোফাজ্জল গ্রামের মৃত তোফাজ্জল ডাক্তারের ছেলেদের সাথে চর যমুনা গ্রামের আঃ কাদের গং দের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে প্রেরণ করেন।ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহেব অভিযোগ টি আমলে নিয়ে উভয় পক্ষের দুজন করে সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে নিয়ে গ্রাম আদালতকে গঠন করেন।মামলা রিসিভ করার ২০ দিনের মাথায় আজ সেই মামলার শুনানির মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে সন্তোষজনক সমাধান দেন।এখন উভয় পক্ষ খুশি, তাহাদের দীর্ঘ পুরানো বিরোধ মাত্র কয়েক দিনে সমাধান হয়েছে।এবং খরচ হয়েছে সল্প। এব্যাপারে চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান,গ্রামের অসহায় মানুষের সমস্যার সমধান গ্রাম আদালতের মাধ্যমে হয়।এখানে কোন খরচ হয়না।গ্রাম আদালত জনগনের জন্য আর্শীবাদ স্বরুপ।
চেয়ারম্যান সাহেব আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদসমূহ এই আইনের আওতায় নিয়মিত গ্রাম আদালত পরিচালনা করলে এ সংক্রান্ত অভিযোগগুলো থানায় বা জেলা আদালতে দায়ের করার প্রয়োজন হয় না। এতে দেশের মূলধারার বিচারিক আদালতগুলোর মামলার জট অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
ভোলা জেলায় প্রকল্পভূক্ত ইউনিয়নসমূহের গ্রাম আদালতসমূহ অধিকতর সক্রিয়ভাবে চলমান রয়েছে। প্রকল্পবহির্ভূত ইউনিয়নগুলোতেও গ্রাম আদালত সক্রিয়ভাবে চলমান রাখার জন্য স্থানীয়ভাবে অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।