তোঁয়ারাল্লাই আত্তু পেট পুরের, কক্সবাজারবাসীকে প্রধানমন্ত্রী

0
6

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে আসার আমন্ত্রণ পেয়ে বলেছেন, ‘তোঁয়ারাল্লাই আত্তু পেট পুরের, আঁই অবশ্যই আইস্সম’।

স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজার সৈকতের লাবনী পয়েন্টের বালুচরে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এক জমকালো উন্নয়ন উৎসবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

উন্নয়নের নতুন জোয়ার, বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ শীর্ষক উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানের কক্সবাজার প্রান্তে বক্তৃতা দিতে উঠে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে দলের ধর্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা প্রধানমন্ত্রীকে কক্সবাজারে এসে স্বচক্ষে এখানকার চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দেখার আমন্ত্রণ জানান।

 

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি উত্তর শুনে অনুষ্ঠানে সমবেত শত শত দর্শনার্থী খুশিতে উদ্বেলিত হয়ে ওঠেন।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণের স্বীকৃতি উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টসহ দেশের কয়েকটি স্পটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কক্সবাজারবাসীসহ সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমার এটাই প্রতিজ্ঞা যে, আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রয়োজনে বাবার মতো আমি জীবন দিয়ে যাবো, রক্ত দিয়ে যাবো। কিন্তু মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাবো। যতক্ষণ আমার শ্বাস আছে ততক্ষণ আপনাদের পাশে, আপনাদের উন্নয়নে কাজ করে যাবো। ’

এ দেশের জনগণের মাঝে নিজের বাবা-মা, ভাইকে ফিরে পেয়েছেন জানিয়ে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ‘আপনাদের মাঝেই হারানো বাবা, হারানো মা, ভাইয়ের স্নেহ ভালোবাসা ফিরে পেয়েছি। কাজেই আপনাদের জন্য জীবনটা… এতটুকু কুণ্ঠিত না। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যত বাধাই আসুক, আমরা করে যাবোই। সবাই সুন্দর জীবন পাবে, উন্নত জীবন পাবে। সুন্দর থাকবেন। ’

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার কথা স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন ফিরে আসি, বাবা-মা ভাই কাউকে পাইনি। কিন্তু পেয়েছিলাম লাখো মানুষ। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা ছুটে গিয়েছিল। কাজেই তারা সেদিন থেকে আমার আপনজন। এ বাংলাদেশের মানুষ তারাই আমার পরিবার, তারাই আমার সব। তাদের জন্যই আমি কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষই আমার সব থেকে আপনজন এবং আমার পরিবার হিসেবে আমি মনে করি। ’

দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যে মানুষগুলোকে তিনি (বঙ্গবন্ধু) এত গভীরভাবে ভালোবাসতেন, সেই মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করা, এটাই তো আমার একমাত্র লক্ষ্য। নিজের জীবনে কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। শুধু একটা কথাই চিন্তা করি যে, দেশের মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কতটুকু দিতে পারলাম। বাংলাদেশের মানুষ যখন ভালো থাকে। বাংলাদেশের মানুষের মুখে যখন হাসি ফোটে—এটাই তো জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। এর থেকে বড় পাওয়া তো আর কিছু নেই।

সুত্রঃবাংলানিউজ২৪

LEAVE A REPLY