ঈদের দিন করোনায় ২৬ জনের মৃত্যুর খবর

0
9

ঈদের দিন শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাসে ২৬ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিগত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা) মৃত্যুর এই সংখ্যা দেড় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

আগের দুই দিনের তুলনায় বেশ কম। গতকাল বৃহস্পতিবার ৩১ জন এবং তার আগের দিন ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৮৪৮ জনের। এই সংখ্যাও দুই মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে ঈদের আগের দিনে কমেছে নমুনা পরীক্ষাও। আগের দিন যেখানে ১৩ হাজার ৪৭১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল, সেখানে বিগত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হয়েছে ৭ হাজার ৮৩৫টি নমুনা।

নমুনা পরীক্ষা কমায় শনাক্ত কমলেও বেড়েছে শনাক্তের হার। বিগত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ। এই হার কয়েক দিনের মধ্যে বেশি। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তার আগের দিন ছিল ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

গত এক দিনে নতুন ৮৪৮ জনকে নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৫। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ২০ হাজার ৪৭১ জন।

আর নতুন করে ২৬ জনের মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১০২।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে।

এ বছরের মার্চ মাস থেকে করোনার সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের উপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেওয়া হয়, সেখানে এক মাস পর ২৫ এপ্রিলের বুলেটিনে ১০১ জনের মৃত্যুর কথা জানায় সরকার।

করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে মানুষের চলাচলে বিধি–নিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল রয়েছে। এই বিধি-নিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে। তবে ঈদ সামনে রেখে শপিং মল ও দোকানে মানুষের ভিড় এবং ঘরমুখো মানুষের ঢল নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

LEAVE A REPLY