আ’লীগ পরিবারের সন্তান হয়ে আমি কখনোই দুইজন সংসদকে হেয় করার দুঃসাহস দেখাতে পারিনা

0
164

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। বিজয় দিবসের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব বলেন আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান হয়ে আমি কখনোই আমার দলের গর্ব আমার পছন্দের দুইজন মাননীয় সংসদ সদস্যকে হেয় করার দুঃসাহস দেখাতে পারিনা।

আজ( ২০ ডিসেম্বর)রবিবার সকালে ভোলার তৃণমূল আওয়ামী নেতা কর্মীদের আপনজন ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে একথা বলেন।আমার দুইজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বকে মূল্যায়ন করা ও বড় করাই ছিল আমার মূল উদ্দেশ্য।তারপরেও আমার বক্তব্যে যদি কারো মনে আঘাত লেগে থাকে তার জন্য আমি দুঃখিত।সকলকে প্রকৃত বক্তব্যটি অনুধাবন করার জন্য ফেইসবুক স্টাটাসে অনুরোধ জানিয়েছেন। এদিকে বিপ্লবের বিজয় দিবসের এ বক্তব্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিক্ষোভের পরে আজ সকালে প্রকৃত ব্যাখা দেন ভোলার আওয়ামীলীগের তারুন্যের এ প্রতিক।

তার ফেইজবুকে প্রদান করা পুরো ব্যাখ্যাটি ভোলা নিউজ২৪ পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধারা হলো…….

“মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় আমার বক্তব্যে একটি বিষয়ে বলতে গিয়ে সাবেক সফল পানিমন্ত্রী জাতীয় নেতা মরহুম আব্দুর রাজ্জাক কাকার সুযোগ্য সন্তান মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব নাহিম রাজ্জাক ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের দৌহিত্র ও মাননীয় সংসদ সদস্য শ্রদ্ধেয় শেখ হেলাল মহোদয়ের সুযোগ্য সন্তান মাননীয় সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় মহোদয়ের উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছিলাম তারা কিভাবে এমপি হলেন মানে মূল্যায়ন কি ছিল। বুঝাতে চেয়েছি তারা দুজনই রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান আর রাজনীতিবীদের ঘরে রাজনীতিবিদের জন্ম হয়। তাদের রাজনীতির হাতেখড়ি পরিবার থেকে হয়। তাদের পরিবার যতদিন দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে জেলজুলুম অত্যাচার সহ্য করেছেন সেই কষ্ট তার পরিবারের সকল সদস্য ভোগ করেছেন। শেখ তন্ময় ভাইয়ের শ্রদ্ধেয় দাদা ১৫ ই আগস্টে জাতির পিতার পরিবারে সদস্যদের সাথে শহীদ হয়েছিলেন, দেশের জন্য জীবন দিয়েছিলেন। আমার বলার উদ্দেশ্য ছিল এই দুই পরিবার তাদের সন্তানদেরকে এমনভাবে প্রস্তুত করেছেন যে দলের প্রয়োজনে দেশের প্রয়োজনে তারা যেকোন দায়িত্ব নেয়ার জন্য উপযুক্ত।একারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ তাদের পরিবারকে ও যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করেছেন। আজ তারা নিজগুনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছেন।

কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় কিছু ব্যক্তি আমার বক্তব্যের ভুল বিশ্লেষণ করে একটি বিভেদ তৈরি করার ষড়যন্ত্র করছেন।

আমার দুইজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বকে মূল্যায়ন করা ও বড় করাই ছিল আমার মূল উদ্দেশ্য। আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান হয়ে আমি কখনোই আমার দলের গর্ব আমার পছন্দের দুইজন মাননীয় সংসদ সদস্যকে হেয় করার দুঃসাহস দেখাতে পারিনা। তারপরেও আমার বক্তব্যে যদি কারো মনে আঘাত লেগে থাকে তার জন্য আমি দুঃখিত।

আশা করি আমার এই বক্তব্যের পর সকল ভুলবোঝার অবসান হবে।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
জয় হোক জননেত্রী শেখ হাসিনার ।”

LEAVE A REPLY