আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এবং ভোলা পৌরসভার অনুমতি ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণ

0
820

ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট : আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা ও ভোলা পৌরসভার অনুমোদন না নিয়েই একটি প্রভাবশালী চক্র ভোলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে চকবাজারের ১০কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ৬ শতাংশ জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছে। মামলার বিবাদি ও নির্মানকারীরা হচ্ছেন আবুল কালাম-আব্দুল জলিল পক্ষ। বাদী পক্ষ আজ বৃহষ্পতিবার ১২টায় ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে জমির মালিক পক্ষের ওয়ারিশ এসএম বাহাউদ্দিন বলেন, ভোলা পৌরসভার চরজংলা মৌজার ৩২৭ নম্বর খতিয়ানে সাড়ে ৬ শতাংশ জমি। এ জমিতে জেবল হক, মুজিবুল হক গঙ ষাটের দশকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে আসছিল। ভাড়াটিয়ারা হচ্ছেন, আবুল কালাম-আব্দুল জলিল পক্ষ। তাঁরা দোকানগুলো ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করার এক পর্যায়ে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয় এবং দোকানের মালিকানা দাবি করে। বাধ্য হয়ে জেবল হক গং সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর ১৩২/০৪।
লিখিত বক্তব্যে বাহাউদ্দিন আরও জানান, দেওয়ানী মামলাটি চলমান অবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল ভোলা শহরের মনিহারিপট্টি ও চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে। এতে তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক দোকান পুড়ে যায়। অগ্নিকান্ডের আগে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ছিল টিনের। অগ্নিকান্ডে ফাকা হলে ওই জমিতে আব্দুল জলিল পক্ষ পৌরসভার অনুমতি ছাড়াই পাকা ভবন নির্মাণে হাত দেয়। ইতিমধ্যে ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাদী পক্ষ পৌরসভার কাছে ২৪ মে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার আবেদন করেন। সেখানে কাজ বন্ধের সারা না পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৮ মে মামলা দায়ের করলে আদালত ভবন নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। আদালত আইন-শৃংখলা বাহিনীকে ওই ভবনের কাজ বন্ধের নির্দেশনা দেন। কিন্তু আজও নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়নি। বাহাউদ্দিন আরও বলেন, বাদিপক্ষ গরীব অসহায়। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাড়ায় টাকায় অনেকের সংসার চলতো। সেটি বন্ধ করে দেওয়ায়, পরিবারগুলোর সংসার চলছে না। তাঁদের মতাও নেই। বিবাদী পক্ষের ও ভবন নির্মাণকারী পরে আব্দুল জলিল ওরফে নান্টু মিয়া বলেন, জমিটি আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কোনো নোটিশ আমরা পাইনি। পেলে আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হব।
ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন বলেন, আবদুল জলিল পক্ষ পৌরসভা থেকে ভবন নির্মাণের কোনো অনুমোদন নেননি। আমরা এসএম বাহাউদ্দিনের অভিযোগ পেয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য একজন কাউন্সিলরকে তদন্তের জন্য নিযুক্ত করেছি। প্রক্রিয়াটি চলমান আছে।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছগির মিয়া বলেন, তিনি আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কিছুই জানেন না। শোনেনওনি, আদালতের কোনো নোটিশ পাননি। পেলে ব্যবস্থা নেবেন।

LEAVE A REPLY