‘চাঁদাবাজ পুলিশ নেই সেটা আমরা অস্বীকার করব না’

0
367

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা কখনোই সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী নেতারা। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছেন চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি শীর্ষক এক সেমিনারে এসব বক্তব্য উঠে আসে। আজ রোববার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টি (ডিসিসিআই) এই সেমিনারের আয়োজন করে।

চাঁদাবাজদের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে মতবিনিময়ে জানান ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, এই ক্ষতির শিকার হন ভোক্তা হিসেবে প্রত্যেক নাগরিক। কেননা চাঁদাবাজদের দাবি মেটাতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা পণ্যের ওপর বাড়তি দাম রাখতে বাধ্য হন। আসছে রমযান মাসে এ ধরনের আরো ভয়াবহভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।

ডিসিসিআই এর সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সেকিল চৌধুরী বলেন, ‘রোজার সময় আমাদের ইফতার পার্টি হবে, স্যার আসবেন, এই আসবেন, নেতা আসবেন এগুলো করে যে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে এগুলো কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রশ্রয় যদি পায় তাহলে কিন্তু ব্যবসায়ীরা তার দ্রব্যমূল্য কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে না।’

ব্যবসায়ীদের অভিমত চাঁদাবাজদের একটি অংশ তারাই যাদের ওপর দায়িত্ব চাঁদাবাজদের ঠেকানো।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী হাজি মো. আবুল হাশেম বলেন, ‘প্রত্যেকটা ট্রাককে বিভিন্ন সংস্থা, আমি বলব পুলিশের ছত্রছায়ায় হয়ে থাকে এইটা যে বিভিন্ন রশিদ দিয়ে চাঁদা আদায় করছে। এটা কিসের উপরে যাবে? এটা মালের উপরেই যাবে।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবসায়ীদের এসব অভিযোগ অনেক বেশি জোরালো হয়ে ওঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে।

এসবের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘গাড়ি যিনি চালান তিনি যদি তাঁর লাইসেন্সটা, তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্সটা, ফিটনেসটা আর যদি রুট পারমিটটা ঠিক থাকে আমার তো মনে হয় তাঁর থেকে চাঁদাবাজি করার কোনো স্কোপ থাকে না। আমরা কিন্তু কঠিনভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। চাঁদাবাজ পুলিশ নেই সেটা আমরা অস্বীকার করব না। আছে, পুলিশও কিন্তু আইনের উর্ধ্বে নয়, তার শাস্তিটা কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তাকে দেওয়া হয়।’

মতবিনিময়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কিছু ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভেজাল তো সরকারি কোনো কর্মকর্তা কিংবা কোনো পুলিশ ভেজাল খাদ্য দেয় না।

দেন আপনারা। কেন দেন? আপনারা পরিশুদ্ধ হন, আমাদের কোনো আইনের দরকার হবে না। পরিশুদ্ধ হন।’

যে ব্যবসায়ীরা ভেজাল করেন তাঁদের আটকের পর ছাড়িয়ে নিতে প্রচুর পরিমাণে তদবির আসে বলেও জানান আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

আইন প্রয়োগে শিথিলতার কারণে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি অনেক ব্যবসায়ী এই সুযোগ নিয়ে থাকেন বলেও মতবিনিময়ে অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষক ড. জিয়া রহমান বলেন, ‘এটা হয়তো ক্লাস ইন্টারেস্টের জায়গা থেকে আপনারা মানতে চাইবেন না। কিন্তু এখানে অনেক ধরনের আপনি লেবার অ্যাক্ট, আইএলওর অ্যাক্ট, আইএলও কনভেনশন কতটুকু আমরা, সবাই সবার ক্ষেত্রেই বলছি, কতটুকু অ্যাড্রেস করে আমরা যাকে আমার এখানে কাজ করছে তাকে তার ওয়েজটাকে আমরা কতটুকু রেগুলেট করছি।’

LEAVE A REPLY