ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান ওরফে রাফি হত্যা মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে যখন সকালে আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয় তখন তাকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। যেন কিছুই হয়নি তার। রায় ঘোষণার পর অবশ্য এই হাসি আর থাকেনি বরং বিষণ্ন বদনে কাঁদতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালেই নুসরাত হত্যা মামলার ১৬ আসামিকে প্রিজনভ্যানে করে আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। প্রিজনভ্যান থেকে নামার সময় তিনি বেশ হাসিখুশি ছিলেন। আদালতের এজলাসেও তাকে হাসতে দেখা যায়। রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত তিনি ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন।
তবে আদালতের রায় শুনে কাঁদতে শুরু করেন অধ্যক্ষ সিরাজ। প্রিজনভ্যানে তোলার সময়ও অন্যসব আসামির সাথে তাকে কাঁদতে দেখা গেছে।
গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় তার মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কারাগার থেকে অধ্যক্ষের নির্দেশে ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নেওয়া হয় নুসরাতকে। হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত।