শেষবারের মতো বাসভবনে মেয়র আনিসুল হক

0
605

ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেটঃ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ তার বনানীর বাসভবনে নেয়া হয়েছে। শনিবার বেলা ১টা ২৫ মিনিটের দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ সেখানে নেয়া হয়।

এর আগে শনিবার বেলা একটায় আনিসুল হকের মরদেহ বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ বিজি ০০২ লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে বিকেলে বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। ওই ফ্লাইটেই আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক, ছেলে নাভিদুল হকও এসেছেন।

শনিবার বলো সাড়ে ১১টার দিকে মেয়রের মরদেহ বহনকারী যাত্রীবাহী বিমানটি সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখানে কিছু সময় যাত্রা বিরতির পর বিমানটি ঢাকার পথে রওনা দেন বলে জানান সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার জিল্লুর রহমান ।

এর আগে তার কফিনবাহী বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি লন্ডনের স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় ছাড়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর ৭টা ৫৮ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৫৮ মিনিটে) সেটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার পথে যাত্রা করে।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে সেখানে থেকে মরদেহ প্রথমে তার বাসায় নেয়া হবে। বিকেল ৩টা থেকে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে রাখা হবে।

সেখানেই বিকেল ৪টায় আসরের নামাজের পর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ বনানী করবস্থানে দাফন করা হবে।

এর আগে শুক্রবার বাদ জুমা আনিসুল হকের প্রথম জানাজা লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক সেন্ট্রাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৯ জুলাই নাতির জন্ম উপলক্ষে ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে যুক্তরাজ্য যান আনিসুল হক। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মস্তিষ্কে প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা।

এরপর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি ঘটলে তাকে গত ৩১ অক্টোবর আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। গত সোমবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার থেকে পুনরায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। প্রায় সাড়ে তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি।

সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে এফবিসিসিআই-এর সভাপতি ছিলেন আনিসুল হক। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।

LEAVE A REPLY