ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : শিক্ষার মান ঠিক রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তদারকি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের স্কুলগুলোর দিকে একটু নজর দেয়া দরকার। সেখানে সঠিকভাবে পড়াশোনা হচ্ছে কিনা, এই বিষয়টার দিকে একটু বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এটা খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি।
শনিবার গণভবনে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ি ও উপজাতিদের মধ্যে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যের বই বিতরণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুরা, আমার সোনার ছেলেমেয়েরাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। আজকের শিশুদের মধ্যে থেকেই আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হবে।
তিনি বলেন, একটি সুশিক্ষিত জাতি হিসেবে বাঙালি জাতি বিশ্বে মর্য়াদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলবে। জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরত্ব দিয়েছিলেন। কারণ শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নত জাতি হতে পারে না। তাছাড়া জাতির পিতার ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণেও শিক্ষার বিকল্প নেই।
পাসের হার কমে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বছর যেহেতু আপনাদের নজরদারি বেড়েছে; সে কারণে হয়ত একটু কম। আশাকরি ভবিষ্যতে যেন বাড়ে। স্কুলগুলোতে নজরদারির পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠক্রম পরিবর্তনের তাগিদ দেন তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সংবিধানে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ অবৈতনিক করে দিয়েছিলেন। মেয়েদের শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্য়ন্ত অবৈতনিক করে দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে স্বাক্ষরতার হার শতকরা ৭২ ভাগ হয়েছে। স্কুলে ঝরে পড়ার হার কমেছে।
এছাড়াও বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রযুক্তি শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতি কমেছে। এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষায় পাশের হার ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এ বছর ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে প্রাথমিকে ২ লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন এবং ইবতেদায়ীতে ৫ হাজার ২৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবারের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন।
আট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে এবার পাসের হার ৮৩ দশমিক ১০ শতাংশ। আর মাদরাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।
জেএসসি-জেডিসিতে এবার মোট এক লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে । এর মধ্যে জেএসসিতে এক লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৭ জন এবং জেডিসিতে সাত হাজার ২৩১ জন পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে।