লালমোহনে মেয়েকে শিকল পরাল বাবা,ছাড়িয়ে নিল প্রেমিক

0
95
ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।এমন ঘটনা ঘটেছে ভোলার লালমোহন উপজেলায় এক তরুণীর সাথে।প্রেমের টানে  ঘর ছাড়ার ভয়ে মারধর করে শিকল দিয়ে বেধে রাখে তার বাবা-মা। পরে অভিযোগ পেয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার(১৪ জানুয়ারি)রাত আনুমানিক ৯টার সময় ভোলা লালমোহন উপজেলার রায়পুরাকান্দি গ্রামে।প্রেমিকা কে বন্ধি করে রাখে মেয়ের বাবা আবুল কালাম।প্রেমিকাকে ছারাতে প্রেমিক পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে আবুল কালামের ঘর থেকে শিকল পড়া অবস্থায় ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করে।সে সময় আটক করা হয়েছে তরুণীর বাবা আবুল কালামকে।উদ্ধার করা মাদ্রাসা ছাত্রীর বয়স কম হওয়ায় তাকে ভোলা সেভ হোমে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা প্রতিবেশি মো: কামাল মিয়া জানান,শুনেছি তাদের বিয়ে হয়েছে।এমন দাবী করে তরুণী প্রেমিকের কাছে যেতে চাইছে।কিন্ত শিকল পরানো উচিৎ হয়নি।
আরেক প্রতিবেশি মো:নাদিম আখন্দ জুয়েল জানান, দুই সপ্তাহ আগে ওই ছেলের বাড়িতে গিয়ে ওঠে সেই মেয়ে। পরে স্থানীয়রা কিশোরীকে তার বাবা-মায়ের কাছে তুলে দেয়। সেখান থেকে বাড়িতে এনে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে তার বাবা।এটা বর্বরতাকেও হার মানায়।
মেয়ের চাচতো ভাই হারুন বলেন,তরুণীর ভগ্নীপতির বাড়ি চরফ্যাশনের জিন্নাগড় এলাকায়। ওই বাড়িতে আসা যাওয়ার সূত্রে পার্শ্ববর্তী এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রেমিকের বাড়ি পালিয়ে যাবে তার ভয়ে মেয়েকে শিকল পড়ায় সফিকুল কাকা এটা খারাপ কি মেয়ের ভালোর জন্যই এটা করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেমিক বলেন,প্রেম করা কোন অপরাধ নয়।আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি এটা খারাপ কি।ওকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে শুনে  আমার মাথা ঠিক ছিল না কোন কিছু করতে না পেয়ে পুলিশে খবর দিয়েছে।
ওই ঘটনায় তরুণীর বাবা ও মাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সফিকুল ইসলাম।
গ্রাম পুলিশ সফিকুল ইসলাম বলেন,মেয়েকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার ঘটনাটি কষ্টদায়ক।কোন বাবা এমন কাজ করতে পারে না। আমার নৈতিক দায়িত্ব থেকে আমি মামলা করেছি।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, তরণীকে তার ঘরে মারধর করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে এমন অভিযোগ পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। চরফ্যাশনের জিন্নাগড় এলাকার এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বলে দাবী করলেও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি বলে জানান মাকসুদুর রহমান মুরাদ।উদ্ধার করা মাদ্রাসা ছাত্রীর বয়স কম হওয়ায় তাকে ভোলা সেভ হোমে পাঠানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY