রোটেশন প্রথা বাতিল,লঞ্চ শ্রমিক কৃর্তক যাত্রী হয়রানি বন্ধ ,কেবিন সিন্ডিকেট বন্ধ ও নিরাপদ নৌপথের দাবীতে মানববন্ধন বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ভোলার সচেতন নাগরিকররা।

0
571

রাকিব উদ্দিন অমি:ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :উপকূলীয় জেলা ভোলার ঢাকার সাথে অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ অর্থাৎ লঞ্চ। কিন্তু লঞ্চ মলিকরা দীর্ঘদিন ধরে ভোলা ঢাকা নৌরুটে সিন্ডিকেট করে যাত্রীদের হয়রানি করে আসেছে। তাই ভোলা ঢাকা নৌরুটের লঞ্চ রোটেশন প্রথা বাতিল,লঞ্চ শ্রমিক কৃর্তক যাত্রী হয়রানি বন্ধ ,কেবিন সিন্ডিকেট বন্ধ ও নিরাপদ নৌপথের দাবীতে মানববন্ধন বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ভোলার সচেতন নাগরিকররা।
আজ ৩০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টায় ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে ভোলা জেলা লঞ্চ যাত্রী কল্যান পরিষদের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানবন্ধনে ভোলা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দুলাল চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে  বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা চেম্বার এন্ড কমার্স এর পরিচালক শফিকুল ইসলাম, হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরাম ভোলার সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহ চৌধুরী, বিটিভি জেলা প্রতিনিধি ও প্রবীন সাংবাদিক আবু তাহের, ভোলা জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারী আজিজুল ইসলাম, ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বাবু গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে,ভোলা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভোলা জেলা আহবায়ক আভিনাশ নন্দী, ভোলা জেলা ক্রিয়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ইয়ারুল আলম লিটন, ভোলা জেলা প্রেস ক্লাব সাধারন সম্পাদক সামস উল আলম মিঠু, ব্যবসায়ী রুহুল আমিন কুট্টি, এ্যাডভোকেট শোহেব হোসেন মামুন,এ্যাডভোকেট কিরন তালুকদার, মহিলা নেতৃ ও এরব স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাফিয়া খাতুন প্রমুখ।
মানববন্ধনে ভুক্তভূগী সহ ভোলার সামাজিক, পেশাজীবি,আইনজীবি, সাংস্কৃতিক কর্মীরা সহ ভোলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশগ্রহন করে।

এসময় বক্তারা বলেন, নৌ-পথ নির্ভর দ্বীপ জেলা ভোলায় প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলায় যাতায়াতের জন্য এখানকার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে লঞ্চ। কিন্তু লঞ্চ মালিকরা সরকারি আদেশ দৈনিক ৪টি লঞ্চের বদলে রোটেশন করে মাত্র ২টি লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করছে। যা সম্পুর্ন বেআইনি। ফলে লঞ্চে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি, কেবিন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও কাঙ্খিত সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন যাত্রীরা।

তারা আরো বলেন, অনেক সময় অধিক যাত্রীর কারনে মূমূর্ষ রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া সম্ভব হয়না। এছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য আমদানী-রপ্তানীতেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এতে করে সাধারন মানুষ ও লঞ্চ যাত্রীরা চরম হয়রানীর স্বীকার হচ্ছেন। তাই অবিলম্বে রোটেশন প্রথা বাতিল ও লঞ্চে সব ধরনের অনিময় বন্ধের দাবি জানান বক্তারা।
এবং বিআই ডাব্লউটিআই এর নিয়ম অনুযাযী যদি ৫টি লঞ্চ চলাচল না করে তবে হরতাল ও লঞ্চঘাট ঘেরাও করার হুশিয়ারি দেন তারা।
উল্লেখ্য, ভোলা ঢাকা নৌরুটে ৫টি লঞ্চকে রুটেশন পারমিট দেওয়া হলেও বর্তমানে প্রতিদিন ভোলা থেকে ২টি লঞ্চ চারগুন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে।
পরে ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও সংস্লিষ্ট মন্ত্রানালয়ের মন্ত্রীদের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

LEAVE A REPLY