মানামীর সুনাম নষ্ট,লঞ্চ বন্ধের ষড়যন্ত্রে নেমেছে দুস্কৃতিকারীরা

0
153

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।মানামীর সুনাম নষ্ট,লঞ্চ বন্ধের ষড়যন্ত্রে নেমেছে দুস্কৃতিকারীরা এমন অভিযোগ করেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল- ঢাকা-বরিশাল রুটে বিলাশবহুল লঞ্চ এম ভি মানামী সুনামের সাথে পথচলার দেড় বছরের মাথায় ষড়যন্ত্রে নেমেছে একদল দুষ্কৃতিকারী।মানামী লঞ্চ দক্ষিনাঞ্চলের  মডেল নৌযান হিসেবে ইতিমধ্যে বরিশালের নৌ সেক্টরে স্থান করে নিয়েছে।যাত্রী সেবা এবং দক্ষিনাঞ্চলেের নৌ পথে আরামদায়ক যাত্রা ও লঞ্চ যাত্রায় সুরক্ষা নিরাপত্তার দিক থেকে এগিয়ে থাকায় ষড়যন্ত্রে নেমেছে একদল দুষ্কৃতিকারী এমন অভিযোগ দিয়েছে লঞ্চ কতৃপক্ষ।

লঞ্চটির পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শরীফ জানান,যাত্রীদের কথা ভেবে কেবিন বয়দের তোষক বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছি আমরা।এতে স্টাফদের বেতন বাড়িয়ে দিতে হয়েছে। ফলে মানামি লঞ্চে আগে থেকে জায়গা দখল করে তা যাত্রীদের কাছে বিক্রি করার সুযোগ নেই। এ নৌযানটি মুনাফায় বিশ্বাসী নয়, মানসম্মত সেবায় বিশ্বাসী।

যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে মানামী লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরও কিছু ভালো উদ্যোগ যা সবার মন জয় করেছে — Online and App based ticket service
– Removal of “Toshok and Chador Banijjo”
– Staff training on customer service,
– Staff training on protecting river & environment pollution
– Providing highest salary in IWT launch sector to motivate and retain staff
– Awarding ‘Cabin crew of the month’ to motivate staff
– Buying BSTI approved water for filter
– Sensor water tap to reduce water wastage
– Membership scheme for both cabin and deck passengers
– Joint promotional scheme with Grameen Phone GP Star customers
– Locker facilities in sofa zone
– Free Wifi
– NID for cabin booking to prevent black ticketing
– Rubber Matt for deck passengers
– Adding hand washing basins in deck
– Sensored hand sanitising booths
– Disinfectant fog machine for cabins
– Social distancing in deck area with cords and screens.


লঞ্চটির পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শরীফ বলে,আমাদের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি কতিপয় গণমাধ্যমকে ভুলতথ্য দিয়ে মানামী লঞ্চ ও এর পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। তাদের এসব অপপ্রচারে ছুরি এতটাই ধারালো যে ব্যক্তির চরিত্র হননেও তারা পিছপা হচ্ছে না।আমরা এগুলো নিয়ে ভাবছি না। মানসম্মত সেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ আমরা তাই করছি।কিন্তুু সংবাদের মাধ্যমে একজন সম্মানিত ব্যক্তির চরিত্র হরণের অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে করি। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে আব্দুস সালাম পরকীয়া সম্পর্কের মাধ্যমে তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ। তাকে সামাজিক ও ব্যবসায়িকভাবে ঘায়েল করার অপকৌশলের অংশ হিসেবে এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে। প্রকৃত তথ্য হলো আব্দুস সালামের চাচতো ভাই সাইদুল ইসলাম টিপু এক হিন্দু নারীর পরকীয়ায় আসক্ত হওয়া নিয়ে তার স্ত্রী সুরভী আলম সাথীর সঙ্গে কলহের সৃষ্টি হয়। এতে তাদের সংসারে নেমে আসে চরম অশান্তি। স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দিলে স্ত্রীর উপর দিনের পর দিন চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিষয়টির সুরাহা না পেয়ে স্ত্রী সাথী তার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। এক পর্যায়ে স্বামী টিপু ক্ষিপ্ত হয়ে ওই হিন্দু নারীকে বিয়ে করেন এবং পারিবারিক ও সামাজিক চাপে ওই নারীকে হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন। এমনকি তাদের অসম পরকীয়া চলা অবস্থায় হিন্দু নারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং টিপু উপায়ন্তর না পেয়ে ওই মহিলার গর্ভপাত করান বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও টিপুকে বিয়ে করার আগেও আরও দুই পুরুষের সঙ্গে সংসার করেন ওই হিন্দু নারী। সেখানে একটি সন্তান রয়েছে। স্বামীর পরকীয়া এবং ধারাবাহিক অত্যাচার-অনাচারে অতিষ্ট স্ত্রী সুরভী আলম সাথী উপায়ন্তর না পেয়ে তার ভাসুর আবদুস সালামকে ঘটনাটি অবহিত করেন। সাথী ও তার সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বড় ভাই হিসেবে টিপুকে পরামর্শ দেন সাথীকে নিয়ে আবারও নতুন করে সংসার শুরু করার। আর এতেই কাল হয়ে দাড়ায় আব্দুস সালাম। বদমেজাজী টিপু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। উল্টো আব্দুস সালামের সাথে অসদাচরণ করেন এবং সাথীকে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব দেয়। স্বামীর পরকীয়া এবং অত্যাচার আর অনাচারের হাত থেকে বাঁচতে সাথী বিবাহ বিচ্ছেদে সম্মত হয়। টিপু-সাথী বৈবাহিক সম্পর্ক আইনিভাবে ছিন্ন হওয়ার অনেকদিন পরে চাচাতো ভাইয়ের দুই অবুঝ সন্তান ও একজন স্বামী পরিত্যাক্তা নারীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আব্দুস সালাম সাথীকে বিয়ে করেন।

দুই সন্তান নিয়ে সাথী সুখে শান্তিতে গত এক বছর ধরে সংসার করে আসছেন। এখানে উল্লেখ থাকে যে, আব্দুস সালামের প্রথম স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং তিনি ৩ সন্তান নিয়ে জাপানে বসবাস করছেন। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই সাথীকে দ্বিতীয় স্ত্রীর মর্যাদা দেন আব্দুস সালাম। সালাম-সাথীর বিয়েকে জড়িয়ে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী টিপুর পরকীয়ার অভিযোগ গভীর ষড়যন্ত্র, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
স্বনামধন্য লঞ্চ সার্ভিস এম ভি মানামীর চেয়ারম্যানের পাশাপাশি আধুনিক লঞ্চটিকে নিয়েও মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। বলা হয়েছে বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশনা অমান্য করে লঞ্চ চালানো হচ্ছে। অথচ বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বশীল ব্যক্তির কোন বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি।
আব্দুস সালাম বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দেশের প্রতি তিনি পূর্ণ আনুগত্যশীল। ১৯৮০ সাল থেকে তিনি জাপানে বসবাস করছেন। জীবিকার তাগিদে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে জাপানে বসবাস করলেও তার হৃদয়-মন পড়ে থাকে রূপসী বাংলায়। আর তাই গত চার দশকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলা পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থে তিলে তিলে ২০১৯ সালে ঢাকা-বরিশাল রুটে যুক্ত করেন দেশের সবচেয়ে আধুনিক লঞ্চ এম ভি মানামী। তিনি মূল উদ্যোক্তা হলেও বিশাল এই কর্মযজ্ঞে তার সহযোগী হয়েছেন আরও কয়েকজন দেশীয় উদ্যোক্তা। মাথার ঘাম পায়ে ফেলা রেমিটেন্স যোদ্ধা আবদুস সালামকে অবৈধ ব্যবসায়ী বলে আখ্যায়িত করা মানে সাদাকে কালো আর কালোকে সাদা বলার শামিল।

LEAVE A REPLY