রাকিব উদ্দিন অমি,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।ভোলার তুলাতুলি থেকে কিলিংমেশিন রাসেল ভাইপার উদ্ধার হয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় ভোলা তুলাতুলি পর্যটক কেন্দ্রের ভিতরে ব্লকের উপর থেকে ইসমাইল নামক এক ব্যাক্তি বিরল প্রজাতির সাপটি দেখে ধরে বস্তায় আটক রাখে।
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ অফিসার আমিরুল ইসলাম সাপটি দেখে রাসেল ভাইপার বলে নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন এটি একটি বিষধর সাপ। বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় এটি দেখা যায়। পৃথিবীর বিষাক্ত সাপের মধ্যে এটি ৫ নম্বর। এই সাপের ছোবলে মানুষ মারা যায়। বিষাক্ত সাপের টিকা এখনো আবিষ্কার হয়নি।
ইসমাইল বলেন, ভোলা তুলাতুলি পর্যটক কেন্দ্রের ভিতরে ঘুরতে গেলে ব্লকের উপরে বিরল প্রজাতির সাপটি দেখে ধরে।প্রথমে তিনি মনে করেছিল অজগর সাপ এরপর খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি রাসেল ভাইপার।সাপটি ইসমাইল বস্তায় ভরে রেখেছে।
মাছ বিক্রেতা মো:ইউনুস বলেন, এই সাপ আমরা এই অঞ্চলে আগে কখনো দেখিনি। এদিকে এমন সাপ ধরা পড়ায় তুলাতুলি এলাকার মানুষ আতংকে রয়েছে।
রাসেল ভাইপার ভারত বাংলাদেশে মহাবিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। অন্যান্য সাপ মানুষকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করলেও এ সাপটি স্বভাব ঠিক তার উল্টো। তাই প্রতিবছরই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ কেবল এ সাপটির কামড়েই প্রাণ হারান। আক্রমণের ক্ষিপ্র গতি ও বিষের তীব্রতার কারণে ‘কিলিংমেশিন’ হিসেবে বদনাম রয়েছে সাপটির।
তীব্রতার দিক দিয়ে সাপটি বিশ্বের ৫ নম্বর ভয়ংকর বিষধর সাপ। কিন্তু মাত্র ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ে কাউকে কামড়ে বিষ ঢালতে পারে সাপটি! তাই কামড়ের ক্ষিপ্রগতির দিক দিয়ে সব সাপকে হারিয়ে রাসেল ভাইপার প্রথম স্থান দখল করেছে। তাছাড়া এ সাপটির বিষ দাঁত বিশ্বে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ। এ সাপের কোনো অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। বলা যায়, এর এক ছোবলেই মৃত্যু নিশ্চিত। কারণ রাসেল ভাইপারে কামড়েছে অথচ বেঁচে গেছেন এমন উদাহরণ নেই বললেই চলে। আবার কেউ ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও এই সাপের বিষ ‘হেমোটক্সিন’ হওয়ায় মাংস পঁচেই আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাই সাপটির কবল থেকে বাঁচতে সচেতনতাই একমাত্র পথ।