ভোলা পূর্ব ইলিশায় প্রেমিক-প্রেমিকাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটকের পর বিয়ে

0
1877

ইয়ামিন হোসেনঃভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : ভোলা সদর উপজেলার ২ নং ইলিশা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের শেলিম পন্ডিতের ছেলে ও একই এলাকার শহীদ জমাদার মেয়ের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রেম চলে আসছে বলে জানা গেছে, এর সুবাদে গত বুধবার সকালে শেলিম পন্ডিতের ছেলে বশির আহম্মেদ (২৫) তার প্রেমিকা কে নিয়ে ঘুরতে এসে ইলিশা ৯ নং ওয়ার্ডের বশিরের এক পরিচিতো বাড়ীতে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে,স্বামী স্ত্রীর মতো মেলামেশা করার সময় সন্দেহ জনক স্থাণীয়রা আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে, পরে দুই জনের কাছে জানা যায়,তারা প্রেমিক প্রেমিকা, পরে দুইজনের সম্মতিক্রমে কাজী এনে বিবাহ পরানো হয়,এদিকে স্থাণীয় ইউপি সদস্য বারেক পাটওয়ারীর সহযোগীতায় ছেলের পক্ষ মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, পরে ইলিশা ফাড়িঁর ইনর্চাজ মোক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার সকালে তাদের স্বামী স্ত্রী কে ফাড়িঁতে হাজির করে দুই জনের বক্তব্য শুনেন এবং আগামী বৃহস্পতিবার বিকালে ইলিশা পরিষদে ফয়সালার তারিখ নির্ধারন করেন,বশির আহম্মেদ জানান, আমি নিজ ইচ্ছায় ফাতেমা কে বিয়ে করেছি, এখানে কারো বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নেই,এই মেয়েটির ইজ্জত যেহেতু আমি নষ্ট করেছি স্ত্রী হিসেবে ও আমি মেনে নিয়েছি,এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিনে পূর্বে এলাকায় আলোচনা হলে এই প্রতিবেদক বারেক পাটওয়ারীর সাথে কথা বললে তিনি প্রেম চললে বলে শিকার করেন, কিন্তু আজকে কেনো তার বিপরীত এমন প্রশ্ন সচেতন মহুলের, আসলে কি টাকার কাছে হেরে গেলেন তিনি?মেয়ের বড় বোন জানান বারেক মেম্বার প্রথমে আমাদের পক্ষে ছিলো কিন্ত আমরা গরীব বলে এখন ছেলের পক্ষে,তবে বারেক মেম্বার তো জনপ্রিয় মেম্বার ছিলো, হঠাৎ এমন পরিবর্তন কেনো? এটাই সবার প্রশ্ন? তবে এই বিষয়ে বারেক মেম্বার এর বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি বলেন কোন বক্তব্য নেই, যত করা লাগে করেন, তবে কি করবো? এর উত্তর দেয়নি, ইলিশা ফাড়িঁর ইনর্চাজ মোক্তার হোসেন জানান আপত্তিকর অবস্থায় ছবি আমি ও দেখেছি, তবে দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে বৃহস্পতিবার বিকালে পরিষদে ফয়সালার তারিখ দিয়েছি,তবে বিবাহ বিষয়টি তিনি শিকার করেছেন, ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাছনাঈন আহমেদ হাছান মিয়া জানান, আমি অসুস্থ ঢাকায় আছি তবে আমি ঘটনাটি শুনেছি বিয়ে হয়েছে, তার পরে ও বৃহস্পতিবারে দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত নিব, স্থাণীয়রা জানান ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনগন বান্ধব হলেও দুই একজন মেম্বার এর সেচ্চাচারিতায় পরিষদের বদনাম হচ্ছে, এক সময়ের বিএনপির ঘাটি হাছনাঈন চেয়ারম্যান এর নেতৃত্ব আজ নৌকার ঘাটিতে পরিনত হয়েছে, যার প্রমাণ বানিজ্যমন্ত্রী মহোদয় আওয়ামীলীগের সদস্য নবায়নের দিন দেখেছেন, বর্তমানে দুই একজন নিজেদের বড় নেতা পরিচয় দিয়ে একটা মেয়ের জীবন যেন শেষ নাই হয়, এই জন্য বিষয়টি উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছে মেয়েটির পরিবার ও এলাকাবাসী।

LEAVE A REPLY