স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোলার চরনোয়াবাদে মালিক বাড়িতে না থাকার সুযোগে জমিতে প্রবেশ করে গাছ লাগিয়ে ও সাইনবোর্ড টানিয়ে জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে শ্যামল চন্দ্র ঘোরামী গংদের বিরুদ্ধে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টার ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোলা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের চরনোয়াবাদ এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
জমির মালিক ভূক্তভোগী পার্থ সারথী রায় জানান, তার বাড়ীর কাছে সরকারের ভিপি সম্পত্তি লীজ নিয়ে প্রায় ৪৬ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছে। ভোগদখলীয় এই জমি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার জন্য স্থানীয় অনিল চন্দ্র ঘোরামীর ছেলে শ্যামল চন্দ্র ঘোরামী, নির্মূল চন্দ্র ঘোরামী বিভিন্নভাবে পায়তারা চালিয়ে আসছে। এর আগে ওই জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে শ্যামল চন্দ্র গংরা গাছের চারা রোপন করে। পরে বনবিভাগ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে সেখান থেকে গাছে চারা উঠিয়ে ফেলা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্যামল চন্দ্র গংরা পার্থ সারথী পরিবারকে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। এই জমি নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। আদালত এই জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পার্থ সারথী রায় গংরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে শ্যামল চন্দ্র ঘোরামী ও নির্র্মূল চন্দ্র ঘোরামী লোকজন নিয়ে ওই জমিতে প্রবেশ করে। এসময় তারা জমির চারপাশের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে এবং নতুন করে গাছের চারা রোপন করে। ওই জমি নিজেদের দাবী করে শ্যামল চন্দ্র গংরা সেখানে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। এসময় পার্থ সারথী রায়ের স্ত্রী শিপ্রা রানী রায় ঘটনাস্থলে এসে দেখেন তাদের জমির চারপাশের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে সেখানে গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। শ্যামল চন্দ্র ঘোরামী গংদের নামে একটি সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী পার্থ সারথী রায় বলেন, শ্যামল চন্দ্র ঘোরামী গংরা এই জমি জোরপূর্বক দখল করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তাদের ভয়ে কিছু বলতে সাহস পাচ্ছি না। তারা আমাদেরকে ওই জমিতে প্রবেশ না করতে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমরা যাতে সরকারের কাছ থেকে লীজ নেওয়া ভোগদখলীয় জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ করতে পারি সে জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শ্যামল চন্দ্র ঘোরামী বলেন, আমরা এই জমি ১ বছরের জন্য লীজ নিয়ে ভোগদখলে আছি। এখানে ভূমি অফিসের মাধ্যমে আমরা গাছ রোপন করেছি। পার্থ সারথী রায় উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।