ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।। ভোলার ঘটনাকে অপ্রত্যাশিত-অনাকাঙ্খিত উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সিঙ্গাপুরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তথ্য আসলেই জানা যাবে কার আইডি থেকে কে, কেন এবং কি উদ্দেশে এমন ধর্ম অবমাননাকর লেখা পোস্ট হয়েছিলো। তথ্য পাওয়া মাত্র আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভোলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্টে নিশ্চয়ই উঠে আসবে পুলিশ কার অনুমতি নিয়ে গুলি ছুড়েছিলো? তবে আমি যতদূর জানি পুলিশ আত্মরক্ষার্থেই গুলি ছুড়েছে।
তিনি আরও বলেন, তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অহেতুক সাধারণ মানুষদের ওপর পুলিশ গুলি করে থাকলে অবশ্যই তার বিচার হবে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভোলার ঘটনার সূত্রপাত যে ছেলের ফেসবুক থেকে সে ছেলেটির ফেসবুক হ্যাকড করে তার কাছে টাকা চাওয়া হচ্ছিলো। বিষয়টি সে জানিয়ে থানায় জিডিও করেছিলো। এর পর তার ওই আইডি থেকে অবমাননাকর পোস্ট দেয়া হয়।
তিনি বলেন, দুজনই এখন আটক আছে। তাদের মধ্যে কথোপকথনের তথ্য-উপাত্ত অধিকতর তদন্তের জন্য আমরা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সিঙ্গাপুর অফিসে পাঠিয়েছি। তাদের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছি। এই ঘটনায় ফেসবুকে কার আইডি কে হ্যাক করেছে, কোথা থেকে এসব পোস্ট করা হয়েছে, কি তাদের উদ্দেশ্য ছিলো, তা অনুসন্ধান করে আমাদের সঠিক তথ্য জানানো হবে। এর পরই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত আমি সবার প্রতি অনুরোধ করব একটু অপেক্ষা করতে। সবার প্রতি আমাদের আবেদন কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নিজের হাতে আইন তুলে না নেন।
ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে ঐক্যফন্টের একটি প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে বৈঠক করে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছেন। আমি তাদের বলেছি, দেখা করার বিষয়টিতে কোনও বাধা নেই। দেখা করতে চেয়ে দেয়া তাদের পত্রটি আইজি প্রিজন্সের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেখান থেকে দিনক্ষণ ঠিক হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাদের সমাবেশের বিষয়ে আমাকে কিছুই জানায়নি তারা। আর সমাবেশের বিষয়ে অনুমতি দিয়ে থাকেন ডিএমপি কমিশনার। এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব তার। তিনি আইন-শৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে অনুমতির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।