ভোলার উওর দিঘলদীতে চাঁদা না দেওয়ায় প্রবাসীর উপর হামলা আহত : ১

0
612
bty

স্টাপ রিপোর্টার :  ভোলা সদর উপজেলার ১২ নং উওর দিঘলদী ইউনিয়ন গজারিয়া বাজার সংলগ্ন  ০৭নং ওয়ার্ড এর নাজেব আলী হাওলাদার বাড়ির পিজের রাস্তার মাথায় মাহিন স্টোর এর পাশে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রবাসি রফিক হাওলাদার গুরুতর আহত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ আগষ্ট বুধবার  বিকাল ৫ টার সময় উওর দিঘলদী ইউনিয়নের নাজেব আলি হাওলাদার বাড়ির মৃত মোঃ সৌয়দ আহমেদ হাওলাদার এর বড় ছেলে প্রবাসি আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম হাওলাদার  (৪৭) এর কাছ থেকে একই বাড়ির নূর আপতাপ হাওলাদার এর বখাটে, সন্ত্রাস ছেলে মোঃ মেজবাহ উদ্দিন হাওলাদার (৩৫) দুই লাক্ষ টাকা  চাঁদা  চায়। প্রবাসি রফিক হাওলাদার চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে গাব গাছের তৈরি লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি ৪৫ থেকে ৫০ টি বারি দেয়। এতে ঘটনার স্থানেই প্রবাসি রফিক হাওলাদার মাটিতে লুটিয়ে পরে। তাৎক্ষণিক স্থানিয়রা তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। প্রবাসি রফিক হাওলাদার ভোলা সদর হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ড এর অতিরিক্ত ০৯ নং বেডে চিকিৎসারত আছে।

আহত রফিক হাওলাদার জানান, আমি ভোলা সদরে থাকি গরু কিনার জন্য আমার গ্রামের বাড়িতে  বুধবার ১৫ তারিখ গজারিয়া বাজার যাই এবং মায়ের সাথে দেখা করার জন্য বাড়িতে যাই এবং মায়ের সাথে দেখা করে আসার সময়  আমাদের  হাওলাদার বাড়ির সামনে মাহিন স্টোর এর পাশে বখাটে, সন্ত্রাস মেজবাহ গাবের লাঠি হাতে আমার সামনে দারায়, আমাকে বলে দারা, আমি দারাই সে আমার হোন্ডার চাবি নিয়ে যায় এবং আমাকে বলে টাকা দে দুই লাখ আমি বলি কিসের টাকা সে বলে তুই জমি বিক্রয় করছ তার টাকা আমি বললাম আমার টাকা তোমায় দেবো কেনো আামার জমি আমি বিক্রয় করছি  সে বলে তুই টাকা না দিলে জান নিয়া ভোলায় যাইতে পারবি না। এই বলে আমায় গাবের লাঠি দিয়ে ৪৫ থেকে ৫০ টা বাড়ি দেয় এবং আমার সাথে নগদ ৩৫০০০ হাজার টাকা নিয়ে যায় আমার সাথে থাকা মটর সাইকেল ভাংচুর করে ।তার কিছুক্ষন পরে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তিনি আরো জানান আমি  দেশে থাকি না আমার ভাইরা কেউ বাড়িতে থাকেনা  এই মেজবা আমার জমি জমা জোর পূর্বক দখল করে আছে, আমার লাখ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করে খাচ্ছে।তার নামে ৫ বছর আগে একটি মামলা দায়ের করছি তা এখনো চলোমান।

আহত রফিক হাওলাদার এর মা  ছালেমা বিবি জানান, আমার ছেলে সহজ সরল সে কোন সময় কারো সাথে ঝগরা বিবাদ করেনাই। আমার ছেলে যখনি বাড়িতে আসে তখনি এই মেজবা কোন না কোন ভাবে আমার ছেলেকে হুমকি দেয়।  মেজবার অত্যাচারে আমাদের বাড়িতে থাকা কষ্টকর হয়ে পরেছে। এই মেজবা আমার ছেলে কে আজ মৃত্যু দরজায় পাঠাইছে,  আমার ছেলের দুই হাত, বাম পা  ভেঙ্গে দিছে এবং মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। গতকাল  ছোট ছোট দুইটা নাতির সামনে আমার ছেলেকে মারছে তার ভয়ে কাতর হয়ে পরেছে। আমি পুলিশ প্রশাসন এর কাছে আমার ছেলেকে মেরে আহত করার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ ঘটনায় মামলার কথা জানতে চাইলে  প্রবাসি রফিক হাওলাদার এর  ভাই সোহরাব হাওলাদার জানান  মামলা এখনো হয়নি তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

LEAVE A REPLY