ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম :: মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক প্রনয়নসহ ১৩ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদার্রেছীন আয়োজিত ভোলায় মানববন্ধন,সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের সদর রোডে বিশাল মানববন্ধন এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজারো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এতে অংশ গ্রহন করেন। এসময় তাদের হাতে দাবীসহ বিভিন্ন লেখা শিক্ষা ব্যবস্থার উপর প্লেকার্ড দেখা যায়। বক্তারা বলেন,ইসলাম ধ্বংসের পায়তারা করতেই পাঠ্যপুস্তকে নানান ধরনের অনৈতিক বিষয় নিয়ে আশা হয়েছে যা কখনোই মেনে নেয়া হবে না। প্রয়োজনের কঠোর আন্দোলন করা হবে। শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলামি শিক্ষা তাহজীব তামাদ্দুন ধ্বংসের চক্রান্ত, মাদরাসার পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তি, মাদরাসা শিক্ষার মধ্যেও হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা সংযোজন করে ইসলামি ও মাদরাসা শিক্ষার স্বতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্য নষ্টের গভীর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ এবং মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন সহ ১৩দফা দাবী।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদাররেছীন ভোলা জেলা সভাপতি ও করিমজান মহিলা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আবদুল খালেক।শিক্ষ ব্যবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদাররেছীনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব ও ভোলা জেলা সাধারণ সম্পাদক এবং ভোলা দারুল হাদিস কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম।
আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আহাম্মদ উল্লাহ আনছারী, মাওলানা মোঃ মোশারেফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ মঈনউদ্দীন,অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুছ ছামাদ,মুহাম্মদ শওকাত হোসেন সম্পাদক, বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের ভোলা জেলা সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজী,বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ভোলা জেলা সভাপতি মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান,জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মীর মোঃ বেলায়েত হোসেন, তরিকুল ইসলাম তারিক,জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহমান খান তালুকদার,আব্দুর রহিম জসিম সম্পাদক বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদাররেছীন দৌলতখান উপজেলা,জেলা ঈমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ নুরে আলম,মোঃ নিজাম উদ্দিন হুমায়ুন শরমান,
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন ৯১ ভাগ মুসলমানের দেশে পাশ্চাত্য ও দেব-দেবীর বিশ্বাস ও তাদের আরাধনার শিক্ষা সংস্কৃতির আদলে তৈরি বইগুলো স্কুলের জন্যও উপযোগি নয়। মাদরাসায় এসকল বই পাঠ্যপুস্কক হিসেবে গ্রহন ও ব্যবহারের প্রশ্নেই আসেনা।এধরনের পাঠ্যপুস্তক মাদরাসায় পাঠদানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রেরিত এবং নির্দেশিত হলে, মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সকল অর্জনকে ম্লান করে দিবে, যা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর মাধ্যমে জেলা নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।